গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা স্বাধীনতা এনেছি কারও গোলামি করার জন্য না। এটা বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন। তাই তিনি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই বলেছিলেন, ভারতের সৈন্য হটাও। কিন্তু এখন ভারতীয় সৈন্যের পোশাক পরা লোক নেই, কিন্তু সাদা কাপড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের মৃত্যু, রাজনীতিবিদদের মৃত্যু আমাদের চিন্তা চেতনার মৃত্যু ঘটাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার হয়রানি এবং সাবেব ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি খুব বেদনায় আছি যে, আমাদের ভিপি নুর, সে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। তাই বলে হয়রানি করা যাবে না। তাকে আপনি বের হতে দেবেন না, এটা হয় না। জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না এজন্য দেশে নৈরাজ্য চলছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি কোথায় নেই? শিক্ষা বিভাগের ডিজি (মহাপরিচালক) সাহেবও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, একটা ড্রাইভারও অভিযুক্ত। অপরদিকে, শিক্ষিত মানুষ, উপাচার্য মহোদয়, ওনার চাকরি হলো রংপুরে থাকেন ঢাকায়। এটা কি দুর্নীতি না? কেন তাদেরকে ঢাকায় থাকতে হবে? এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমাদের সামনে দুর্দিন আসছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কিসের ভয়? ঘরের মধ্যে বন্দী থাইকেন না। খালেদা জিয়া অন্যায় করেছে, টাকার হিসাব দেয়নি, তাকে জেলে দিয়েছেন ঠিক আছে। উনি এক জেলে আছেন, আপনি আরেক জেলে আছেন। তাহলে দেশটা চালাবে কে? আজকে আমাদের রাস্তায় নেমে উন্মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে হবে। উন্মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে মস্তিষ্ক কাজ করবে না।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নুরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন। হয়রানি বন্ধ করেন। যে হয়রানি আমার ওপরও বিদ্যমান রয়েছে। এখনও আমার মামলা চলছে, আমি মাছ চুরি করেছি! কায়টা মাছ খেতে পারি আমি? সুতরাং প্রধানমন্ত্রী এই জিনিসগুলো বন্ধ করুন। এসব বন্ধ না করলে দেশের জন্য তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন