গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, আজকে সারাদেশ ভয়ানকভাবে অসুস্থ- রোগে, যৌন নিপীড়নে, ধর্ষণে। সুখের খবর হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর তার কন্যা সুস্থ্ আছেন। তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এজন্য কমিশন করে, সবার সঙ্গে কথা বলে, দেশকে গণতন্ত্র দেয়া এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আর কোন পথ নেই।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ন্যায় জঘন্য ও ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল।
এসময় ইমামদের ভূমিকা তুলে ধরে জাফরুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি আমাদের আলেম সমাজ একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। তারা সেখানে মূল ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেছেন, মেয়েদের সমতা দিতে হবে। আপনাদের মসজিদে মসজিদে খুতবায় দেশের অনাচারের বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
তবে এর একমাত্র চিকিৎসা হলো সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের এই রোগের কোন চিকিৎসা নাই। দ্বিতীয়ত, ইমাম সাহেবরা যেন এক বক্তব্য দিয়েই খালাস না হন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা সবার বাড়িতে সুখ চাই। এজন্য কমিশন করেন, সবার সঙ্গে কথা বলেন, দেশকে গণতন্ত্র দেন। মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া আপনার কোন পথ নাই।
শিক্ষার ব্যাপারে সরকার একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা কিছু ভুল পথে চললে সেটাকে কারেক্ট করা খুব কঠিন ব্যাপার হয়। ১৯৭২ সালে আমাদের পরীক্ষা নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল, নকলের যে সমারোহ হয়েছিল, সেটাকে বন্ধ করতে আমাদের একটা দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আজকে তারই উদাহরণ ধরে বলছি, সরকার একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কবি আবদুল হাই শিকদার, এহসানুল হক মিলন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সেলিম হোসেন ভূইয়া, রফিক শিকদার, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন