কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে । ধরলা নদীর কিছুটা কমলেও বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পঞ্চম দফা বন্যায় কুড়িগ্রাম সদরসহ কয়েকটি উপজেলার শতাধিক চরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা, ভাঙামোড়, কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা, ভোডাঙা, পাঁচগাছি, মোগলবাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জানা গেছে, বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ফলে যোগাযোগের ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, নতুন করে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সদর উপজেলার সারডোবে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে হলোখানা, ভাঙামোড় ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের প্রায় শতভাগ আমন ক্ষেত এখন পানির নিচে।
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ধরলার ভাঙনে তার ইউনিয়নের জগমহনের চর গ্রামের ৮০টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও ঐ ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, নানকার, সাতভিটা, পাঙারচর,টেংনারভিটা,দিগদারী গ্রামের ১০হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। সেইসাথে আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ধরলা. তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ নদ-নদীর ভাঙনে গত তিন দিনে একটি স্কুলসহ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন