বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মামলায় বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর যোশি, উমা ভারতী-সহ অভিযুক্ত ৩২ জনকে বুধবার বেকসুর খালাস করেছে সিবিআই বিশেষ আদালত। আদালতের এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিচার বিভাগের ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি কালো দিন।’
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। সেই মামলায় ৪৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত রয়েছেন ৩২ জন। এদের মধ্যে ২৬ জন বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বাবরি মামলায় এই ৩২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। আদালত বলেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস কোনও পূর্ব-পরিকল্পিত ঘটনা নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সিবিআই যেসব অডিও বা ভিডিও দিয়েছে, তার সত্যতাও প্রমাণিত হয়নি। বাবরি মসজিদের ডোমের উপর যারা চড়েছিল, তাদের সমাজ-বিরোধী আখ্যা দিয়েছে আদালত।
বাবরি মামলার রায়ে ক্ষুব্ধ মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিচার বিভাগের ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি দুঃখজনক দিন। এখন আদালত বলছে যে সেখানে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না।’ ওয়াইসির আরও প্রশ্ন, ‘দয়া করে আমাকে বোঝান, কোনও ঘটনা স্বতঃস্ফূর্ত হওয়া থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য কত মাসের প্রস্তুতি প্রয়োজন?’
উল্লেখ্য, বাবরি ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শীর সংখ্যা অন্তত ৩০-৪০ হাজার। তবে সিবিআই মোট ১ হাজার ২৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। এদের মধ্যেও মাত্র ৩৫১ জন আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি এবং ভিডিও ফুটেজ পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আদালতে পেশ করা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক এবং পুলিশকর্মীদের বক্তব্যও। কিন্তু বিচারক জানান, কোনও কিছুতেই প্রমাণ হয়নি যে অভিযুক্তরা কোনওরকম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। লখনউয়ের সিবিআই আদালতের এই রায়ের পর এবার হাই কোর্টে আবেদন করার সুযোগ থাকছে সিবিআইয়ের কাছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন