শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘রাশিয়ার টিকা নিরাপদ ও কার্যকর’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৫৯ পিএম

রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ফাইভ’ তৈরিতে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার সব ধাপ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন গামালেয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ। রাশিয়া প্রথম ৬ সপ্তাহ এই টিকা যাদের ওপর প্রয়োগ করেছে, তার ভিত্তিতে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে।

আলেকজান্দার গিন্টসবার্গ বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারিতে একরকম যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধে যেমন মানুষ মারা যায়, তেমনি মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে স্পুটনিক ভি তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো অবহেলা করা হয় নি’। এত দ্রুত রাশিয়ার উৎপাদিত টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে রয়েছে উদ্বেগ। বিজ্ঞানী মহল, এমনকি পশ্চিমা কোনো দেশ থেকে এর স্বীকৃতি দেয়া হয় নি। গিন্টসবার্গ বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়া আমাদের দ্রুততার বিষয়ে যেভাবে রিপোর্ট করেছে তা ঠিক নয়। কোনো পদ্ধতি অবহেলা করা হয় নি।’ তিনি বলেছেন, ‘একটি টিকা উৎপাদনের জন্য তার টিমকে একটি টাইট ডেডলাইন দেয়া হয়েছিল। স্পুটনিক ভি তৈরিতে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার সব গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে। তাই প্রথম ৪২ দিন যেসব স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে তার অন্তর্বর্তী ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার।’ এর অর্থ হলো, বিশ্বে চলমান টিকার চূড়ান্ত দফা বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ডাটা আসার আগেই বিশ্বজুড়ে প্রথম হওয়ার উচ্চ আশা আছে রাশিয়ার। এ জন্যই এই ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেয়া হয়েছে। এর অর্থ ২১ অক্টোবরের পরে এই অন্তর্বর্তী ফল আসতে পারে। রাশিয়ার যে তহবিল থেকে এই টিকায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তারা বলেছে অন্তর্বর্তী ফল অক্টোবর বা নভেম্বরে প্রকাশ হতে পারে। ওদিকে পশ্চিমা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের টিকার চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা চলছে। তা চলছে ৪২ দিনের বেশি। তবে এখনও তারা কোনো অন্তর্বর্তী ফল বা রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।

গিন্টসবার্গ বলেছেন, ৪২ দিনের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের পর অন্তর্বর্তী ফল জানতে জনগণের আগ্রহ রয়েছে। এই টিকার বিষয়ে এতে তাদের ধারণা পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, যে ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর সর্বশেষ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে ১৮০ দিন বা ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৬ মাস চলছে। এখন তার টিম চূড়ান্ত রিপোর্ট করার পরিকল্পনা করছে এবং তা আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে প্রকাশ করা হবে।

এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে দ্য ল্যানচেট ম্যাগাজিনে। একদিকে যখন পরীক্ষা চলছে তখন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই টিকা দেয়া শুরু করেছে রাশিয়া। এই টিকা নিয়ে এমন পদক্ষেপের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এখন পর্যন্ত এমন ৪০০ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এসব মানুষ তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা উন্নতি অবনতির কথা অনলাইনে জানাতে পারবেন। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন