কনডেম সেলের আসামিরা জেলের ভেতর আরেক জেলে দিন কাটাতে হয়। সাধারণ আসামিদের দিনের বেলায় লকআপ থেকে বের করে দেয়া হলেও তাদের সে সুযোগ দেয়া হয় না। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিকে জীবনের শেষ দিনগুলো এমনই
ছোট্ট একটি নির্জন কক্ষে একাকী থাকতে দেয়া হয়। কক্ষের ভেতরেই টয়লেট করতে হয়। মেজেতেই ঘুমাতে হয়। সব সময় বাতি জ্বালানো থাকে।
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি তার স্ত্রী মিন্নিকে সব সময় একাকী থাকতে হবে। কথা বলার মতো কোনো মানুষের সাক্ষাত পাবেন না। এই মুহূর্তে বরগুনার কারাগারে নারী বন্দীদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনো নারী বন্দী নেই।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারের যে বিশেষ কক্ষে রাখা হয় সেটাকে কনডেম সেল বলা হয়। কনডেম সেলের বন্দীরা কখনো সেল থেকে বাইরে বের হতে পারেন না। এসব বন্দীরা মাসে একবার তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এছাড়াও সপ্তাহে একবার তারা ফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন।
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে এই ছয় বন্দী ব্যতীত অন্য কোনো কারাবন্দি নেই বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন।
এছাড়াও রিফাত হত্যা মামলার অপর পাঁচজন পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ বন্দী ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে আর অন্য কোনো পুরুষ বন্দীও নেই বলে উল্লেখ করেন জেল সুপার।
মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিন্নিকে রাখা হয়েছে নারী ওয়ার্ডের কনডেম সেলে। আর পুরুষ বন্দীরা আছেন পুরুষ ওয়ার্ডের কনডেম সেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন