সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে পতনের আভাস পাওয়া যায়। প্রথম আধাঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সময়ের সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা বাড়তে থাকে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে অংশ নেয়া ৬৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২৬৩টি এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
গতকাল টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ালটনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯০টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন