সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে ১২ কার্যদিবস পর শেয়ারবাজারে হাজার কোটি টাকার লেনদেনের দেখা মিলল।
গতকাল লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় মাত্র ২ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না গড়াতেই নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে যায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবগুলো সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৯২টি এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৫৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৭৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্লােবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন