বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দক্ষিণ এশিয়া ভয়াবহ মন্দায় পড়লেও ভালো করবে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৩৫ পিএম

করোনা মহামারিতে দক্ষিণ এশিয়া ভয়াবহ মন্দায় পড়লেও জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবেশীদের তুলনায় ভাল করবে বাংলাদেশ। বুধবার বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দফতরে বুধবার অনলাইনে বার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগেই ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি শতকরা ২ ভাগ অর্জিত হবে বলে ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আগস্টে প্রকাশিত এক ডাটায় বলেছে, এই হার হবে শতকরা ৫ দশমিক ২ ভাগ। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাষ দিয়েছে যে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে শতকরা ১ দশমিক ৬ ভাগ।

বিশ্ব ব্যাংক তার রিপোর্টে বলেছে, করোনা ভাইরাস মহামারিতে ভয়াবহ মন্দায় পড়বে দক্ষিণ এশিয়া। কারণ, করোনার কারণে অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ মানুষ চলে যাবে চরম দারিদ্র্যে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যা ধরা হয়েছিল তার থেকে অনেক কম অর্জিত হবে। ২০২০ সালে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৭ দশমিক ৭ ভাগ অর্জিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। এর আগে গত ৫ বছর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৬ ভাগের ওপর। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারত। সেখানে ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া অর্থবছরে অর্থনীতি শতকরা ৯ দশমিক ৬ ভাগ অর্জিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়াবে শতকরা ৪ দশমিক ৫ ভাগে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলে ২০১৯ সালের অনুমিত মাথাপিছু আয়ে শতকরা ৬ ভাগের নিচে থাকবে। এর অর্থ হলো, করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে তা পূরণ হবে না।

এর আগের মন্দার সময় বিনিয়োগ ও রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে মন্দা গুরুত্বর হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যক্তিগত চাহিদা- যেটাকে দক্ষিণ এশিয়ার চাহিদার মেরুদন্ড হিসেবে দেখা হয় এবং অর্থনীতির একটি মৌলিক সূচক, তা শতকরা ১০ ভাগেরও নিচে নেমে যাবে। এতে দারিদ্র্যের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় বেশ কিছু দেশে দরিদ্রদের জীবন যাপনে প্রভাব পড়বে।

দক্ষিণ এশিয়া রিজিয়নে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শাফার বলেছেন, পূর্ব ধারণার চেয়ে করোনাকালীন দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির পতন অনেক বেশি করুণ। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের জন্য এটা হবে সবচেয়ে খারাপ সময়। অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকরা আকস্মিক কাজ হারিয়েছেন। বেতন পাননি। তবে তাৎক্ষণিক ত্রাণ এতে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু অনানুষ্ঠানিক খাতের বিপন্নদের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত সরকারগুলোর। সূত্র: ডেইলি মেইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন