বাংলাদেশে উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যাফার। একই সঙ্গে তিনি এদেশে তার তিন দিনের সফর শেষ করেছেন।
শ্যাফার বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে, সরকার ও জনগণের প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ় সংকল্পের ফলে একটি দেশ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং মাত্র চার দশকের ব্যবধানে স্বল্প মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে’। “প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছাতে দেশকে তার যুবকদের আরও বেশি এবং আরও ভাল কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। একটি শক্তিশালী বেসরকারী খাত, অনুক‚ল ব্যবসায়ের পরিবেশ, দক্ষ শ্রমশক্তি, দক্ষ অবকাঠামোসহ সঠিক নীতিমালা এবং দ্রুত পদক্ষেপ অত্যন্ত জটিল।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেছেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তারা দেশের উন্নয়নের অগ্রাধিকারগুলি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে তাদের বিগত কয়েক দশকে অর্জন করা চিত্তাকর্ষক ফলাফল বজায় রাখতে তাদের সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
‘বিশ্বব্যাংক সরকার, স্টেকহোল্ডার এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে নিবিড় সহযোগিতা এবং সকল মানুষের সুবিধার্থে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদায় যাত্রায় বাংলাদেশে যোগদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ -বলেন শ্যাফার।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা গত ছয় বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অন্যতম বৃহত্তম উপকারভোগী যা দরিদ্র দেশগুলিকে ছাড়ে ঋণ প্রদান করে।
গতকাল শ্যাফার বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামে বক্তৃতা করেন এবং নারীর ক্ষমতায়নে এর সাফল্যসহ দেশের উন্নয়ন উদ্ভাবনের প্রশংসা করেন, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়ক ভ‚মিকা রেখেছে। তিনি অর্থমন্ত্রী এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সাথেও সাক্ষাত করেছেন।
স্বাধীনতা অর্জনের পরে বাংলাদেশকে সমর্থনকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে ছিল বিশ্বব্যাংক। সেই থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের কাছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি দেবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দিয়েছে, যার বেশিরভাগ সুদমুক্ত এবং বিশেষ ছাড়ের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন