দেশের ৩০টি পৌরসভার পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৪৪ কোটি টাকা) ঋণ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই ঋণ চুক্তি সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি টেম্বন সই করেন।
বাংলাদেশকে ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছরের গ্রেস (সুদহীন) দিয়ে শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে এই টাকা দিতে হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছ থেকেও ১০০ মিলিয়ন ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া এতে বাংলাদেশ সরকার ৯ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন বিনিয়োগ করছে।
জানা গেছে, নির্বাচিত এই ৩০ পৌরসভার অধিবাসীদের কাছে পাইপের মাধ্যমে নিরাপদে পানি পৌঁছে দেয়া হবে, যার ব্যবস্থা বর্তমানে নেই। একই সঙ্গে পানি সংরক্ষণ, সরবরাহ, বাসা-বাড়িতে সংযোগ দেয়াসহ মিটার সিস্টেম তৈরি করা হবে। পাবলিক টয়লেটও নির্মাণ করা হবে। এছাড়া অতি দরিদ্র ও বস্তিবাসীদের পয়ঃব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
ইআরডির সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পৌর এলাকায় পাইপের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এই প্রকল্প সেই লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করবে।
বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি টেম্বন বলেন, বর্তমানে শহরগুলোতে অনেক মানুষ বাস করছে। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পানি ও স্যানিটেশনের মতো কিছু অবকাঠামো নির্মাণ জুেরি। এই প্রকল্প ছোট শহরগুলোতে বাস করা মানুষের উপকারে আসবে। বস্তিবাসীরাও এই প্রকল্পের আওতায় পাইপের মাধ্যমে পানি, উন্নত স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ সুবিধা পাবে।
পরিষ্কার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে, ফলে নারীরা পানি সংগ্রহের কাজে যে সময় ব্যয় করতেন, তা তাদের করতে হবে না। একই সঙ্গে তারা পরিবারের অন্য কাজ ও শিশুদের পড়াশোনায় বেশি সময় দিতে পারবে বলেও মনে করেন টেম্বন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন