শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

উত্তাল সারাদেশ

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

দাবি না মানলে ঢাকা থেকে নোয়াখালী অভিমুখে লংমার্চ
সারাদেশে নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের কঠোর আইন করে বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সর্বত্রই বইছে প্রতিবাদের ঝড়। রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ নানাভাবে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী, বিভাগীয়, জেলা শহর থেকে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলা শহরেও। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হচ্ছে প্রতিদিন। ধর্ষকদের প্রতি ঘৃর্ণা ছড়ানোর পাশাপাশি তাদের পৃষ্টপোষকদের মুখোশ খুলে দেয়ার দাবি উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকা ছিল কার্যত উত্তাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, উত্তরা, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ কমপক্ষে ১০টি স্পটে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে শাহবাগ কার্যত ছিল অবরুদ্ধ। শাহবাগে আয়োজন করা হয় ধর্ষণ বিরোধী মহাসমাবেশ। নারী নিপীড়ন বন্ধে সরকারের নিষ্কিয়তার অভিযোগ ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন। একই সময়ে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সামবেশ ও মিছিল করে ছাত্রলীগ। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এদিকে নুরসহ ৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদি ঢাবি শিক্ষার্থী ফাতেমার অনশন অব্যাহত আছে।

বিকাল পৌনে ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে মহাসমাবেশ শুরু হয়। শুরুতেই ধর্ষণবিরোধী মিছিল, বক্তব্য, গান, কবিতা ও ¯েøাাগানে মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেকে এসে এতে যোগ দেয়। এসময় তারা নানা ¯েøাাগান সংবলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করেন। শাহবাগের মহাসমাবেশ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকরসহ নয় দফা দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ে সরকারকে ৬ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অন্যথায় নোয়াখালী অভিমূখী লং-মার্চের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।

নয় দফা দাবি উত্থাপন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স। প্রিন্স বলেন, আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরি করব সারা দেশে। ধর্ষণকে উচ্ছেদ করে ছাড়ব এ দেশ থেকে। ৯ দফা দাবি আদায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিৎ করার দাবিতে ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বাংলাদেশ প্লাাটফর্মের ব্যানারে বাম ধারার ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেবে। এছাড়া ১১ অক্টোবর ধর্ষণবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ১২ অক্টোবর সাংস্কৃতিক সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর চলচ্চিত্র উৎসব, ১৪ অক্টোবর নারী সমাবেশ ও ১৫ অক্টোবর সারা ঢাকায় ধর্ষণবিরোধী সাইকেল র‌্যালির কর্মস‚চি ঘোষণা করেন অনিক। দাবি মেনে নেয়া না হলে ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টায় এই শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত লংমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ অক্টোবর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

মহাসমাবেশ থেকে নয় দাবি:
সমাবেশ থেকে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধে নয় দফা দাবি উত্থাপন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স। ১. সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধ ও বিচারে ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। ২. পাহাড়-সমতলে আদিবাসী নারীদের ওপর সামরিক-বেসামরিক সব ধরনের যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ৩. হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সিডো সনদে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলোপ করতে হবে। ৪. ধর্মীয়সহ সব ধরনের সভা-সমাবেশে নারীবিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএলের কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চায় সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। ৫. তদন্তকালীন সময়ে ভিকটিমকে মানসিক নিপীড়ন-হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ভিকটিমের আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৬. অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে অনিষ্পন্ন সব মামলা দ্রæত নিষ্পন্ন করতে হবে। ৭. ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-১৫৫ (৪) ধারা বিলোপ করতে হবে এবং মামলার ডিএনএ আইনকে সাক্ষ্য প্রমাণের ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হবে। ৮. পাঠ্যপুস্তকে নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক যে কোনো প্রবন্ধ, নিবন্ধ, পরিচ্ছেদ, ছবি, নির্দেশনা ও শব্দ চয়ন পরিহার করতে হবে। ৯. গ্রামীণ সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।

এসময় তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ছাত্রলীগের বিক্ষোভ:
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, এই বাংলাদেশে কিছু কুলাঙ্গার ধর্ষণের মতো কাজ করেছে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজ ১৮দিন ধরে বিচারের দাবিতে নিরভে নিভৃতে কাঁদছে। প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, অনতিবিলম্বে দ্রæত সময়ের মধ্যে তথাকথিত ছাত্র অধিকার পরিষদের কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার করুন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ নামক অভিশাপকে মুক্ত করতে হলে সবার নিজের জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রতি আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি আর একটি বোন লাঞ্চিত হয়, একটি বোনকে উত্যাক্ত করা হয় উত্যক্তকারীকে আপনারা নিজের জায়গা থেকে প্রতিহত করুন।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, বাংলাদেশের মেধাবী তরুণরা সত্য ইতিহাসকে ত্যাগ করেছে। ছাত্রলীগের দুর্বার আন্দোলন, দুর্বার সংগ্রামকে ভূলতে বসেছে। নুরুরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যমে আন্দোলন জমাতে চাইতে। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, পচাত্তরের খুনিরা ইনডেমনিটি পায়নি, ফাতেমা আক্তারের খুনিরাও ধর্ষণের ঘটনায় ইনডেমনিটি পাবে না। বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে ন্যাক্কারজনক কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এসবের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের অব¯‘ানে রয়েছে।

নুরের অভিযোগ:
প্রেসক্লাব এলাকায় গণজমায়েতে আন্দোলন দমাতে ঢাবি ক্যাম্পাস দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আজকে যখন এসব অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে তখন ক্ষমাতাসীন দল সারাদেশ থেকে দুর্বৃত্তদের এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরপুর করে রেখেছে। ধর্ষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা দমাতে পলাশী, লালবাগসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দখলে নিয়েছে।
পীর সাহেব জৌনপুরী : জৌনপুরী দরবার শরীফের পীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দীকী বলেছেন, ধর্ষণ ও গণধষণ মহামারীর প্রতিবাদে উত্তাল সারাদেশ। সকল মানুষের দাবী হচ্ছে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রæত সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করা। গতকাল বাদ জুম’আ আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী মাওলানা আবদুর রহীম, মাওলানা বরাতুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক নক্সেবন্দী, পরিচালনায় ছিলেন তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচীব মাওলানা আরিফুর রহমান

রাজশাহী : গতকাল শুক্রবার দুপুরে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ইমাম ও ওলামা মাশায়েখ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পৃথকভাবে এ কর্মসুচি পালন করে। জুমার নামাজের পর সর্বস্তরের ইমাম ও ওলামা মাশায়েখ রাজশাহী মহানগরী শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে তারা জিরোপয়েন্টে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইমাম ও ওলামা মাশায়েখ-এর শীর্ষ নেতা মাওলানা আইয়ুব আলী শেখ।
এদিকে রাজশাহীতে পুলিশের বাধায় শিক্ষার্থীদের ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ পÐ হয়ে গেছে।

নরসিংদী : গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়া নরসিংদী শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তানজিমের হাজার হাজার সদস্য বাদ জুমা নরসিংদী পৌর চত্ত¡রে জমায়েত হয়।
ফরিদপুর : ফরিদপুরের মধুখালীতে মানববন্ধন কর্মসূচি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ায় পল্লীসমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে কালিয়ার তিনটি এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দেবিদ্বার : সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাÐ চত্বরে এক মানববন্ধন করেছে ধর্ষণ ও নিপীড়ণ বিরোধী ছাত্র-জনতা।
সোনাগাজী : সোনাপুর হাজী সেলিম কিÐার গার্টেনের উদ্যোগে গতকাল সকালে সোনাগাজী-মুÐরী প্রজেক্ট সড়কে উক্ত বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Farhana Afroj ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
আন্দোলন তো বুঝলাম, কিন্তু নোয়াখালীর আলোচিত ধর্ষক দেলোয়ারের সাথে কর্তব্যরতপুলিশদের দাঁত বের করা যে ছবি দেখতে পাচ্ছি,তার মানে হচ্ছে ধর্ষক দেলওয়ার খুব শিগগিরই জামিনে মুক্তি পাচ্ছে, এর পরে সে অন্য কোন মা-বোনের উপর চড়াও হবে ,হয়তো আর উগ্র ভাবে, আরো নৃশংস ভাবে
Total Reply(0)
Md Habibur Rahman ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
কোনো আন্দোলনে কাজ হবে না, এর একমাত্র বিচার হচ্ছে ক্রস ফায়ার নতুবা গণপিটুনি !!! এছাড়া এসব বন্ধ হবে না !!!
Total Reply(0)
Kazi Younus ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
একদিকে জিনা-ব্যভিচারের সকল পথ খোলা রাখা হবে, ধর্ষণের পরিবেশ উন্মুক্ত রাখা হবে, ধর্ষণে উৎসাহিত করা হবে এবং ধর্ষকদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে আরেকদিকে ধর্ষণ হলে খুব চিৎকার ও চেচামেচি করা হবে- এটা আয়নাবাজির শামিল। সুতরাং কি কি কারণে ধর্ষণ হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিন এবং দেশটাকে বসবাস উপযোগী ও নিরাপদ করুন। মা বোনদের ইজ্জত আব্রু হেফাজত করুন। মনে রাখবেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণ রোধে ইসলামই একমাত্র সমাধান।
Total Reply(0)
Mohammad Abul Mamun ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
নারী ধর্ষণের মত চরম ঘৃণ্য কাজ করেও যখন সেই আসামী পুলিশ হেফাজতে মেহমানের মত খুশমেজাজে হাসিমাখা চেহেরা নিয়ে তোষকের উপর আরামে বসে টেলিফোনে কথা বলতে দেখা যায়, তখন কি আর বুঝার বাকী থাকে আদালতে তার বিচার কোন গতিতে চলবে?
Total Reply(0)
Kneebir Ahammed ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
নতুন আইন পাশ করা হলো মৃত্যুদন্ড। এতে করে সাধারন ধর্ষকদের ফাঁসি হবে বেশি। আর প্রভাবশালী অথবা রাজনৈতিক দলের সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা বাচার জন্যে ঠিকই একটা পথ খুঁজে বের করে নিবে।
Total Reply(0)
Ziared Rahman ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
দেশে আইনের পরিবর্তন আনা দরকার, অপরাধ ছোট বড় যাই হোক আসামি কে জামিন দেওয়া যাবে না, ধরষনের মতো কিছু অপরাধের বিচার শেষ হওয়ার পরে সেই ক্যাচ আপিল করা যাবে, দ্রুত বিচার শেষ করতে হবে তাহলে দেশের অপরাধ কম হতে পারে আমার মতে।
Total Reply(0)
Md Ramzan ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
চলে আমেরিকার স্টাইলে, বিচার চায় সৌদি আরবে মত।যত দিন এই দেশে কুরআনের আইন না চালু হবে, মেয়েরা পর্দার আইন না মানবে, তত দিন ধর্ষন ব্যভিচার বন্দ হবে না।
Total Reply(0)
Tasnim Tuba ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
লজ্জা হওয়া দরকার যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী সে দেশে ধর্ষণের বিচার হয় না
Total Reply(0)
Kazi Masud ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
শাহবাগের ধর্ষণ বিরোধী মিছিল ও স্লোগানকে যেভাবে রাজনীতি করণ করা হচ্ছে তাতে এদেশে অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইচ্ছে মানুষ হারিয়ে ফেলছে।
Total Reply(0)
Rupantor রুপান্তর Babu ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
আইন দিয়েই ধর্ষক ও তাদের আশ্রয় দানকারীদের স্তব্ধ করে দিতে হবে। আইন তৈরি ও তার বাস্তবায়নের জন্য জনগণ এইসব কর্মসূচি সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে চালিয়ে যাবে। এটাই আমাদের সোনালী অতিত ঐতিহ্য।
Total Reply(0)
Motiul Islam ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
বিচারিক কাজ দীর্ঘ হওয়ার কারণে দেশের অপরাধ বাড়তে থাকে।
Total Reply(0)
zakir ১১ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২১ পিএম says : 0
আলেম সমাজ কেন চুপ, তাদের কওমি মাদ্রাসায় ছাএ বলাৎকার এর ব্যপারে? তাদেকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন