বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খুলনাঞ্চলের সড়কগুলোর বেহাল দশা

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

খুলনার সড়ক-মহাসড়ক এবং গ্রাম-অঞ্চলের সড়কগুলো চলাচলের দায় হয়ে পড়েছে। নির্মাণ বা মেরামতের পরপরই ফুলে ফেঁপে উঠছে অধিকাংশ সড়ক। সড়ক ও জনপথ, সিটি করপোরেশন এবং এলজিইডি ৩ দফতরেই নির্মাণকৃত সড়কে একই দৃশ্য ধরা পড়েছে। মূলসড়ক থেকে বিটুমিন উঠে গিয়ে বের হয়ে আসছে খোয়া। সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্তের। এসব সড়ক দিয়ে ছোট বড় যান চালাচলে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। খুলনার প্রধান প্রধান মোড় ও কয়েকটি সড়কে ভোগান্তি আর দুর্ভোগ চরমে। বড় বড় গর্ত আর ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। সরকারি কয়েকটি দফতরের সমন্বয়হীনতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনার সড়ক ও জনপথ সূত্র জানিয়েছে, তাদের আওতায় খুলনায় ১৭টি সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে আঠারো মাইল পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার সড়ক পুনঃনির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের প্রথম দিকে এর কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদার। তবে কাজ শেষ না হতেই পুরো সড়কটির অধিকাংশ জায়গার কোথাও দেবে নিচু হয়ে গেছে। এমনকি কোথাও ঢিবির মতো উঁচু হয়েছে। এমন বেহাল দশায় জনভোগান্তি যেন চরমে। একই অবস্থা কয়রা-পাইকগাছা সড়কের পাইকগাছা অংশ এবং কপিলমুনিতে। রূপসা বাইপাস সড়ক এবং পুরাতন রূপসা সড়কটির অর্ধেক জায়গা জুড়েই খানাখন্দে ভরা। যার কারণে জন সাধারণের চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে।

জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা থেকে নতুন রাস্তা মোড় ও রায়ের মহল থেকে মোস্তফার মোড় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের স্বল্প সময়ের মধ্যে বিটুমিন সরে গিয়ে দলা হয়ে গেছে। খালিশপুর বিএডিসি সড়ক, শান্তিধাম মোড়, গল্লামারি মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোরই বেহাল দশা। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১ হাজার ২১৫টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ৬৪০ কিলোমিটার। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। রাস্তা ফুলে ফেঁপে উঠছে। দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) খুলনার আওতায় ৯ উপজেলায় মোট ১১৭টি কার্পেটিং সড়ক রয়েছে। যে সড়কগুলোর বেশিরভাগই খানাখন্দে ভরে গেছে। মানুষ ভোগান্তি সামলেই চলাচল করছে এসব সড়কে। এরমধ্যে সব থেকে বেশি খারাপ অবস্থায় কয়রা এবং দাকোপ উপজেলার সড়কগুলো। একইভাবে দাকোপ-বারআড়িয়া-মাগুরখালী-তালা (চালনা-লক্ষীখোলা) সড়ক ও কেশবপুর-বেতগ্রাম সড়কেও অধিকাংশ স্থান চলাচল অনুপোযোগী।

এসব সড়কের বেহাল দশার বর্ণনা তুলে ধরে সড়কগুলো দিয়ে চলাচলকারী গাড়ির চালকরা বলেন, সড়কের মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পাশাপাশি সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে প্রায় সময় গাড়ি আটকে যায়। এমনকি অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়। চালকদের অভিযোগ মহাসড়কে গেলে যাত্রীরা থাকে ভয়ে। এছাড়া হেলে দুলে চালাতে হয় বাস। দুর্ঘটনার আশঙ্খা থাকে বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন