মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের একমাত্র ছেলে ব্যারন ট্রাম্পও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুধবার মেলানিয়া ট্রাম্প নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মেলানিয়া জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ আগে তিনি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আক্রান্ত হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই তদের ছেলেকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের নিকটবর্তী একটি বেসরকারী স্কুলে পড়া তাদের ১৪ বছর বয়সী ছেলেটির মধ্যে করোনার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। এরপর পরীক্ষা করে সে করোনামুক্ত বলে জানা গেছে।
এদিকে, আইওয়ার দে ময়েন শহরে এক নির্বাচনী সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও স্বীকার করেন যে, তাদের সঙ্গে ব্যারনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তার (ব্যারন) শরীরে খুব অল্প সময়ের জন্য এটি (ভাইরাস) ছিল।’ এর আগে গত ২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই টুইট করে জানান, তিনি এবং মেলানিয়া করোনায় আক্রান্ত। তার আগে ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হোপ হিকসের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন ট্রাম্প। এর পর আক্রান্ত হন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত সহকারী নিকোলাস লুনা। ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার এবং সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন।
ট্রাম্প তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরেন। মেলানিয়া ও ব্যারন হোয়াইট হাউসেও চিকিৎসা নিয়েছেন। ১১ অক্টোবর ট্রাম্প নিজেকে করোনামুক্ত দাবি করেন। পর দিনই তিনি নির্বাচনী জনসভায় ফিরে আসেন। এদিকে মেলানিয়াও করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার উপসর্গ খুবই মৃদু। আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, মাথা ধরা ছিল এবং কাশি ছিল। এখন আমি ভালো অনুভব করছি। আশা করছি শিগগিরই আমার দায়িত্বে ফিরব।’ মেলানিয়া জানান, সুস্থ হতে তিনি প্রাকৃতিক উপাদানের ওপরেই নির্ভর করেছেন। ওষুধ গ্রহণের চেয়ে তিনি ভিটামিনসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন। সূত্র : টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন