রক্ষক পুলিশ, কিন্তু হায় (!) রায়হান মরিয়া প্রমাণ করিলো, পুলিশও ভক্ষক। হয়তো সেকারণে রায়হানের কবরে লেখা সাইনবোর্ডে সেই কথারই প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। নীল রংয়ের সাইনবোর্ডে সাদা কালিতে লেখা ‘বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুবরণকারী।’ ইতিহাস হয়ে থাকবে এই মৃত্যু কাহিনী, তেমনি কলঙ্কজনক এক অধ্যায়ে বাঁধা থাকবে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি।
এদিকে, রায়হান হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত এক কনেস্টবলকে গ্রেফতার পর ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। ইতোমধ্যে হত্যার ঘটনায় ফাঁড়িতে কতর্ব্যরত ৩ কনেস্টবলের সাক্ষীতে হত্যা ঘটনায় নির্মমতা উঠে এসেছে। এছাড়া পুলিশের এহেন কর্মে সিলেট মেট্রোপুলিশে শিগগিরই শুদ্ধি অভিযানের দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীতা। ২০১৬ সালে পুলিশ সদর দফতরের পলিসি গ্রুপের ৩ নং এজেন্ডা আমলে না নেয়ার বিষয়টি এখন আলোচনায় উঠছে। রায়হান হত্যা মামলার মূল আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শিগগির তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
৫ দিনের রিমান্ডে পুলিশ কনস্টেবল হারুন : বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩য় আদালতে তাকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। শুনানী শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম। এর আগে গত শুক্রবার পুলিশ লাইন্সে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) খালেকুজ্জামান। গত ১৩ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল কনস্টেবল হারুনকে।
২০১৬ সালের পলিসি গ্রুপের সেই ৩ নম্বর এজেন্ডা : রায়হান হত্যা ঘটনার মধ্যে দিয়ে সিলেট মেট্রোপুলিশের জবাবদিহিতার বিপরীতে বেপরোয়া তৎপরতা বেরিয়ে পড়েছে। পোস্টিং বাণিজ্য, চাঁদাবাজীসহ সব অপকর্মের চেহারা এখন আমজনতার নখদর্পনে। অবস্থা উত্তরণে শুদ্ধ অভিযানের দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয়তা।
২০১৬ সালের ২ মে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তৎকালীন আই জিপি’র সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত পলিসি গ্রুপের সভার ৩ নং এজেন্ডাতে উল্লেখ করা হয়েছিলো, সিলেট রেঞ্জধীন (সিলেট-মৌলবীবাজার-হবিগঞ্জ-সুনামগঞ্জ) জেলা সমূহে বাড়ী এমন পুলিশ সদস্যদেরকে এসএমপিতে বদলী না করা সংক্রান্ত। সে সময়ে যতটুকু জানা গিয়েছিলো তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল মুহিতসহ আরো অনেকের আপত্তির কারণে পলিসি গ্রুপের সেই সভায় আলোচনার স্থান পায়নি বিষয়টি। কিন্তু রায়হান হত্যা ঘটনার পর মনে হচ্ছে এই পলিসির কার্যকারিতা ছিল খুবই জরুরি।
বিশেষ করে সিলেট বিভাগে বাড়ী এবং নানা অপতৎপরতায় জড়িত অফিসার থেকে কনেস্টবল পর্যন্ত হাজার পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ফিরে এস এম পির বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত। সেই সুবাদে একের পর এক সামাজিক ও বিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কাজের সাথে নিজেদেরকে জড়িত রাখছে তারা। এদের দ্রুত চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে এসএমপি থেকে কিংবা বৃহত্তর সিলেটের ৪ জেলার বাহিরে অন্য রেঞ্জে বদলী চলমান পরিস্থিতিতে খুবই দরকার। এছাড়াও পুলিশ সদর দফতরের সাবেক ডি আই জি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমানের সময়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে যাদেরকে সরাসরি এসএমপিতে পোস্টিং দেয়া হয়েছিল তাদের ব্যাপারেও বদলী সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট মেট্রাপুলিশের কর্তাব্যক্তিরা নিজ অধিনস্তদের ব্যাপারে কেন ছিলেন উদাসীন ও রহস্যজনক নীরব। তাদের নীরবতা বা প্রশাসনিক অদক্ষতা ধারাবাহিকতার কারণেই রায়হান হত্যা মামলায় টিটু নামের যে কনেস্টবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত বন্দর ফাঁড়িতে অবস্থান করছে। তার এ অবস্থানের মধ্যে দিয়ে কর্তাদের ভূমিকা অনুমেয়।
এছাড়া কোতয়ালী মডেল থানার অনেক কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে কনেস্টেবল রুবেল এবং ওসি’র গাড়ী চালক সুহেল। তাদের ক্ষমতার কাছে অনেক সিনিয়র অফিসারকেও অনচ্ছিাস্বত্তে ছাড় দিতে হয়। এস আই আকবর সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার হবার পর বন্দর ফাঁড়িতে সাব-ইন্সপেক্টর শাহীনকে পোস্টিং দেয়ার জন্য ৯ লাখ টাকার লেনদেন কে করেছিলো, তার উত্তর একমাত্র দিতে পারবেন এস এম পি’র কেন্দ্রীয় আরও খায়ের উদ্দিন।
খায়ের উদ্দিনের ম্যানেজ প্রোগামে রয়েছেন এস আই কামাল নামের এক কর্মকর্তা। ঘুরে ফিরে সিলেটে ফাঁড়ি গুলোতে তার রাজত্ব। বর্তমানে লামাবাজার ফাঁড়িতে সে। অর্থ বৈভবের পাহাড় গড়েছেন তিনি। অপরদিকে মেট্রোপুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরবাজার ফাঁড়ি, পূর্বে কোন ফাঁড়ি ইনচার্জ হয়ে কাজের দক্ষতা না থাকার পরও এস আই আকবর কে বন্দর ফাঁড়িত পোস্টিং দেয়ার জন্য ডিও লেটার কে দিয়েছিলো। কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি গৌসুল হোসেন তার কর্মকালীন সময়ে বন্দর ফাঁড়ির একজন এ এস আইসহ যে ৩ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিজেরা পকেটে মাদক রেখে নিরীহ মানুষকে মামলায় ফাসাঁনোর চেষ্টা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন ডিসি নর্থ অফিসে, সেই প্রতিবেদনের আলোকে অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো? রায়হান হত্যা ঘটনার পর এ প্রশ্নগুলো সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এছাড়া, বৃহওর সিলেট অঞ্চলে বাড়ী এমন পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদেরকে এস এম পিতে পোস্টিং না করা এবং যারা আছেন তাদেরকে অন্যত্র পোস্টিং সংক্রান্ত ব্যাপারে ২০১৬ সালে এসএমপি থেকে একটি প্রস্তাবনা পুলিশ সদর দফতরে প্রেরণ করা হয়েছিলো। কিন্তু রাজনীতিক তদবিরে ফাইলবন্দী হয়ে যায় সেই প্রস্তাবনা। তার খেসারতে সিলেট মেট্রো পুলিশ চেইন অব কমান্ড এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
৩ পুলিশ সদস্যের সাক্ষী, বেরিয়ে আসছে রায়হানের উপর এস আই আকবরের নির্যাতনযজ্ঞ : কিভাবে বোকা বানাতে চেয়েছিল সিনিয়র অফিসারদের বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ এস আই আকবর। অনেকে মনে করছেন, বিগতদিনের বোকা বানানোর ধারাবাহিক চর্চা ছিল রায়হান হত্যা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। অতীতে সফল হলেও রায়হান পরিবারের প্রতিবাদে ব্যর্থ হয় তার এ মিশন। দুই কনস্টেবলকে হুমকি দিয়ে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ ও রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান হোতা এস আই আকবর হোসেন ভূইয়া বলেছিল, ‘সিনিয়র স্যাররা এলে বলবি, ফাঁড়িতে কোনো লোক এনে নির্যাতন করা হয় নাই। সে (রায়হান) কাস্টঘর থেকে গণপিটুনি খেয়ে ধরা পড়েছে। তাকে সরাসরি ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, যা বলছি তাই বলবি। সত্য কথা বললে বুকে গুলি করব, পিঠ দিয়ে বের হবে।’
আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এমনটি জানিয়েছেন ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সাইদুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় একই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন কনস্টেবল শামীম মিয়াও। জানা যায়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনার সময় বন্দর ফাঁড়িতে দায়িত্বে থাকা তিন কনস্টেবল দেলোয়ার, শামীম ও সাইদুরকে গত সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের খাস কামরায় নেয়া হয়। সেখানে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক।
কনস্টেবল শামীম মিয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর রাত ২টার দিকে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা শেষ করে ফাঁড়ির মুন্সির কক্ষে ঘুমিয়ে যান তিনি। রাত ৩টার পর কক্ষের ভেতরেই কান্নার আওয়াজ শুনে তার ঘুম ভেঙে যায়। দেখতে পান রায়হানের দুই হাত পেছনের দিকে হাতকড়া লাগানো। মেঝেতে বসে চিৎকার করছেন তিনি। গ্রেফতারকৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস মোটা লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করছেন। একপর্যায়ে ডান দিকে কাত হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়লে কনস্টেবল টিটু তার পায়ের তলায় আঘাত করেন তিনি। তখন কনস্টেবল হারুনুর রশিদ রুমে প্রবেশ করেন। রায়হানকে মারধর শুরু করেন তিনিও। এ সময় এএসআই আশেক এলাহী ও কুতুব উদ্দিন রুমে উপস্থিত ছিলেন। কনস্টেবল তৌহিদ ও সজিব রুমের দরজায় দাঁড়ানো ছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পর রুমে প্রবেশ করেন এস আই আকবর হোসেন। টিটুর হাতের লাঠি নিয়ে রায়হানকে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেই বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন তিনি। তার মারমুখী আচরণ দেখে এ এস আই কুতুব আকবরকে বলেন, স্যার আর মাইরেন না। তখন রুমের একটি বিছানায় লাঠি হাতে নিয়ে বসে যান আকবর। সকাল সাড়ে ৭টায় সিয়েরা-৪ ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখি রায়হানকে যেখানে মারধর করা হয়েছে সেই স্থানটি ভেজা। সকাল ৯টায় ওসমানী মেডিকেলের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের স্টোরে গিয়ে আমরা দেখি একটি লাশ রাখা আছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে কনস্টেবল তৌহিদ, তখন লাশটি দেখে আমি চিনতে পারি।
এছাড়া সাইদুর আদালতে জানায়, বন্দরবাজার ফাঁড়ির মুন্সি কনস্টেবল আমিনুলের রুমে কনস্টেবল হারুন রায়হানের পা উঁচু করে ধরে রাখেন, রায়হানের পায়ের পাতা এবং পায়ে আঘাত করেন আর এস আই আকবর ও কনস্টেবল টিটু। এ সময় এ এস আই আশেক এলাহী আকবরকে বলেন, রায়হান পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে তার পায়ে মারেন। সমস্যা নেই পায়ে মারলে। তখন আকবর আমাকে ধমক দিয়ে সেন্ট্রি পোস্টে পাঠিয়ে দেন। এরপর বেশ কয়েকবার রায়হানের চিৎকার শুনতে পাই। ভোর ৪টায় কনস্টেবল দেলোয়ারকে আমি ডিউটি বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাই।
সাইদুর আদালতকে বলেন, পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির মুন্সি কনস্টেবল আমিনুল ডিসি স্যারের (এসএমপির উপকমিশনার উত্তর আজবাহার আলী শেখ) কথা বলে ফাঁড়িতে ডাকেন। আসার পর আকবর স্যার বলেন, ‘সিনিয়র স্যাররা এলে বলবি, ফাঁড়িতে কোনো লোক এনে নির্যাতন করা হয় নাই। সে (রায়হান) কাস্টঘর থেকে গণপিটুনি খেয়ে ধরা পড়েছে। তাকে ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে সরাসরি। আমি যা বলছি তাই বলবি। আমার বুকে হাত দিয়ে আকবর স্যার হুমকি দিয়ে আরও বলেন, ‘সত্য কথা বললে বুকে গুলি করব, পিঠ দিয়ে বের হবে।’ কনেস্টেবল দেলোয়ারও সাইদুরের মতো একইভাবে এস আই আকবর কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনকেও হুমকি দিয়েছেন বলে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।
দেলোয়ার আদালতে বলেন, কনস্টেবল তৌহিদ ফাঁড়ির সেন্ট্রি পোস্টে তার সঙ্গে গল্প করছিল এ সময় তৌহিদকে ডেকে নেন আকবর স্যার । এরপর তৌহিদ এসে জানায়, আকবর স্যার তার মোবাইল নিয়ে রায়হানকে দিয়ে তার বাসায় কল দিয়ে ১০ হাজার টাকা ফাঁড়িতে নিয়ে আসতে বলেছেন। এরপর আকবর স্যার এএসআই আশেক এলাহীকে বলেন, ঘুমিয়ে গেলাম আমি। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে নিয়ে যেও রায়হানকে। ফজরের আজানের পরপর রায়হানের চাচা এলে তাকে নিয়ে নামাজে যান এ এস আই আশেক এলাহী। নামাজ থেকে এসে আশেক এলাহী রায়হানের চাচাকে বলেন, স্যার ঘুমিয়ে গেছেন আপনি সকাল ৯টার পর আসেন। সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে এ এস আই আশেক এলাহী ও কনস্টেবল হারুন ধরে বের করে নিয়ে আসেন রায়হানকে এবং সিএনজি আটোরিকশায় তোলেন। তারা আমাকে জানান তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আধাঘণ্টা পর ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে যান আকবর স্যার। সকাল ৮টায় কনস্টেবল ইলিয়াসকে ডিউটি বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাই আমি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন