চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট আল-জামিয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসা’র পরিস্থিতি নিয়ে আহুত সংবাদ সম্মেলন শূরা কমিটির বৈঠক ডাকা-না ডাকা নিয়ে ছাত্রদের দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পন্ড হয়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দিন ব্যাপী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আগামী ২৮ অক্টোবরের পরিবর্তে ২৬ অক্টোবর মাদ্রাসার শুরা সভা করার নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর আহুত শূরা বৈঠক এবং মাদ্রাসার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে আল্লামা আহমদ শফি নিযুক্ত মুহতামিম মাওলানা ছলিম উল্লাহ এলাকাবাসী-ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন উপস্থিত ছাত্রদের একাংশ শূরা চাই শূরা চাই বলে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রদের একটি অংশ স্লোগানধারীদের নিবৃত্ত করতে চাইলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিত-া হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের কিছু উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী লাটি-সোটা নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে থাকে। পরে র্যাব-পুলিশ এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরও শিক্ষার্থীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে মাদ্রাসায় অবস্থান করে স্লোগান-পাল্টা স্লোাগান দিতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এডিশনাল এসপি (হাটহাজারী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মাসুমের নেতৃত্বে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় থাকে। পরবর্তীতে ছাত্রদের আন্দোলন বেগতিক হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় ছুটে যান স্থানীয় এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ। এ সময় স্থানীয় এমপি উত্তেজিত ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন এবং ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে দ্রুত শুরা বৈঠক ডাকার আহবান জানান। পরে শুরা সদস্য আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আগামী ২৮ অক্টোবরের পরিবর্তে ২৬ অক্টোবর মাদ্রাসার শুরা সভা আহবান করলে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়।
উল্লেখ্য- ২৮ মে নাজিরহাট আল-জামিয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ ইদ্রিস ইন্তিকাল করলে নায়েবে মুহতামিম মুফতি হাবিবুর রহমানকে সাময়িক দায়িত্ব দেয় শূরা কমিটি। পরবর্তিতে মাদ্রাসার শূরা সদস্য হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রয়াত পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী মাওলানা সলিম উল্লাহকে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম ঘোষণা করলে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মুফতি হাবিবুর রহমানসহ শূরার অন্যান্য সদস্যরা তা মেনে নিচ্ছে না। এরমধ্যে দু’পক্ষের বিদ্যমান জটিলতা নিরসনে প্রশাসনের সহায়তায় ২৮ অক্টোবর শূরা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন