সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হাজী সেলিম পলাতক!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের কর্মকান্ডে লোক লজ্জার ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম।

গতকাল হাজী সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া পুরান ঢাকার বড় কাটরায় দেবীদাস ঘাট লেনের চাঁন সরদার দাদা বাড়ীতে গিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন ইরফান সেলিম। এরপর তার বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যা চেষ্টা মামলা করেন ওয়াসিফ আহমেদ। এ ঘটনায় গত সোমবার দিনব্যাপী পুরান ঢাকার বড় কাটরায় দেবীদাস ঘাট লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিম পুরান ঢাকার বড় কাটরায় দেবীদাস ঘাট লেনে নিজ বাড়িতেই থাকতেন। যখন র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করছিল তার আগ থেকেই ওই বাসায় নেই হাজী সেলিম। ছেলের কর্মকান্ড থেকে নিজেকে আড়াল করতে পলাতক রয়েছেন এমপি হাজী সেলিম।

এদিকে, হাজী সেলিমের ছেলে নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য গত নির্বাচনের আগে একাধিকবার চকবাজার এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর শহীদ হাজী আব্দুল আলিম খেলার মাঠ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটান ইরফান সেলিম। সেদিন মূলত ছিল নিজেকে জানান দেওয়ার শো ডাউন। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন প্রধান অতিথি ছিলেন। মাঠের নামফলকে হাজী সেলিমের নাম না থাকায় তার ছেলে ইরফান সেলিম দলবল নিয়ে হাজির হন সেখানে। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে থাপ্পড় মারেন হাজী সেলিম।

এভাবে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার মধ্য দিয়ে উত্থান হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের। পুরান ঢাকার বিশেষ করে চকবাজার এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান সেলিম। একাদশ সংসদ নির্বাচনে পিতার আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরমও তুলেছিলেন ইরফান। পরে আওয়ামী লীগ থেকে হাজী সেলিমকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন। এমপি হতে না পারলেও জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন থেকেই যায় তার। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন ইরফান সেলিম। বাবা এমপি অন্যদিকে শ্বশুর ইকরামুল করিম চৌধুরীও একজন সংসদ সদস্য। আর নিজে কাউন্সিলর। তাই ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করতেন ইরফান সেলিম।

আর এর সবই পেয়েছেন পিতা হাজী সেলিমের কাছ থেকে। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী থেকে সংসদ সদস্য বনে যাওয়া হাজী সেলিমও বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে এলাকার ভেতর প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। হাজী সেলিম ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে পরাজিত হন। তারপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন হাজী সেলিম। দশম সংসদে ১৬ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের নিয়ে আলাদা একটি জোট করেন তিনি। যদিও সেই জোটের কোনো কার্যকারিতা ছিল না।

তবে বিভিন্ন সময় সংসদে নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়াতেন এই সংসদ সদস্য। একবার সংসদে আইন প্রণয়ন কাজে তৎকালিন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তর্কে জড়ান হাজী সেলিম। তবে দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে হাজী সেলিম কথা বলতে পারেন না। শুধু ইশারায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
এএইচ মন্জু ভূঁইয়া ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
হাজি সাব হয়তো ৪০ দিনের চিল্লাতে গেছে। নামাজ কালাম নিয়ে ব্যস্ত আছে।
Total Reply(0)
Sardar Bahaudden ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
ওরে ধইরা আইনা রিমান্ডে নিলে অনেক আকাম কুকামের ঘটনা জানা যাবে।
Total Reply(0)
রফিকুল ইসলাম মাদানি ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
এ আবার কিসের লোক লজ্জা.? উনি কি তাহলে এতদিন জানতেন না তার ছেলে কতটা হিংস্র.? অবশ্যই জানতেন তাই এখন এই পলায়নই প্রমাণ করে কোন জবাব দিতে পারবেন না বলেই এমনটা করেছেন।
Total Reply(0)
মৌলভী মোহাম্মদ আল আমিন ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
এই খবর শোনার পরে অনেকদিন পরে একটু মন খুলে হাসলাম
Total Reply(1)
AZAD ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪৮ এএম says : 0
কি আর আমরা করতে পারি বলুন। এই নিষ্পাপ হাসিটাই আমাদের ভুলে থাকার সম্পদ। এক যুগ হল আমারা আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ছিন্তায় করা হয়েছে।
Md Nasim Miah ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
হেড লাইনটা ভাল লাগলো
Total Reply(0)
Khan Alam ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
হাজী সেলিমের বাসায় তল্লাশি দাবি করছি
Total Reply(0)
Md Sador Uddin ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫৭ এএম says : 1
হাজী সেলিম সাহেবের ছেলে যদি নৌ-বাহিনী কর্মকর্তাকে না মারতো বরং সেখানে যদি একজন সাধারন মানুষকে মারত তাহলে এই বিষয়টা জানাজানি হতো না কোনো মামলা হতো না মামলা হলেও গ্রেপ্তার করা হতো না
Total Reply(1)
AZAD ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৬:০২ এএম says : 0
না তা অবশ্যই হত না। এর মানে হল - আমাদের দেশে মোট ১৩,৭৫০০০ সরকারি কর্মচারী এরা ছাড়া বাকী সাড়ে ষোলো কটি মানুষ কে মানুষ মনে করা হয় না ।
মোঃ ইউনুস আলী ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৭:১৩ এএম says : 0
এই ধরণের "লোকেরা আমার সোনার বাংলা" কে ধ্বংস করছে। সরকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনা যারা করেন তারি কেন আগে থেকে এদের বিচারের আওতায় আনেনা? এই রকম হাজারো বাপবেটা শকুনের দল আমার সোনার বাংলা কে লুটেপুটে খাচ্ছে। এরা একদিন ধ্বংস হবেই। আল্লাহর গজব থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৭:১৫ এএম says : 0
লজ্জার কি আছে উনি তো এসবের প্রধান সমন্নয়কারী।।। আমের গাছ থেকে লিচু হয় না ঠিক তেমনি উনার সন্তান আর কেমন হতে পারে!!!
Total Reply(0)
প্রবাস জীবন ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৫৪ এএম says : 0
হাজী নামটা কি জন্য উনার নামকরণ করা হয়েছে । হজ্জ করলে মানুষের নেমপ্লেট হাজী লাগানো হয় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে তাদের নাম তো নামাজি হওয়ার কথা ।টাকা থাকলে হজ করা যায় কিন্তু নাম আসে হাজী ভিতর সব কার্যক্রম পাজি যারা হাজী নাম নেমপ্লেট লাগায় তারা একচুয়ালি গণ্ডমূর্খ।
Total Reply(0)
Jack Ali ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:২৬ পিএম says : 0
There are thousand and thousand Hazi Salim every corner in our country as such our live become hell then why we liberated our country from Pakistan???? these criminals are committing thousand times more crime than Barbarian Pakistan.
Total Reply(0)
Omor Faruq ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৩৩ পিএম says : 0
রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর :বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানবতাবিরোধী অপরাধ রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানবতাবিরোধী অপরাধ।ঠিক ১৪ বছর আগে ২০০৬ সালের এই দিনে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় রচিত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে নারকীয় উল্লাস চালানো হয়েছিল। সবচেয়ে বড় মানবতা বিরোধী অপরাধ এদিনই সংগঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সেদিন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। লগি, বৈঠা, লাঠি, পিস্তল ও বোমা হামলা চালিয়ে যেভাবে মানুষ খুন করা হয়েছে তা মনে হলে আজও শিউরে ওঠে সভ্য সমাজের মানুষ। সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মেরে লাশের উপর নৃত্য উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছে। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতার বিচার হওয়াতো দূরের কথা, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দেশের বিশিষ্টজনেরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতা ছিল নজীরবিহীন। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত জাতি কলংক মুক্ত হবে না। তারা মনে করেন, সেই তাণ্ডবতার বিচার হলে নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যানকে এভাবে মরতে হতো না। তারা বলেন, মামলা প্রত্যাহার করার মাধ্যমে বিচার পাওয়ার অধিকারও কেড়ে নেয়া হলো। এতেই প্রমাণ হয় এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। হত্যার রাজনীতিকে উৎসাহিত করার পরিণতি কারো জন্যই শুভ নয়। ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রেডিও-টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। মূলত এ ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশব্যাপী শুরু হয় লগি-বৈঠার তাণ্ডব। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত অফিসসহ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেমন চালানো হয় পৈশাচিক হামলা, তেমনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় অনেক অফিস, বাড়িঘর, পুরো দেশব্যাপী চলে তাণ্ডবতা। তার প্রথম শিকার হয় গাজীপুরে জামায়াতে ইসলামীর অফিস। এসময় লগি-বৈঠা বাহিনীর তাণ্ডবে শহীদ হন রুহুল আমিন। সুপরিকল্পিত হামলা চারদলীয় জোট সরকারের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ছিলো। সকাল থেকেই সভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎ করেই বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের লগি, বৈঠা ও অস্ত্রধারীরা জামায়াতের সমাবেশ স্থলে হামলা চালায়। তাদের পৈশাচিক হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয় জামায়াত ও শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মী। তাদের এই আক্রমণ ছিল সুপরিকল্পিত ও ভয়াবহ। তারা একযোগে বিজয়নগর, তোপখানা রোড ও মুক্তাঙ্গন থেকে পল্টন মোড় দিয়ে আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পল্টনের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে এবং নিরীহ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। পল্টন মোড়ের পৈশাচিকতা সেদিন পুরো পল্টন জুড়ে ছিল লগি, বৈঠা বাহিনীর তাণ্ডবতা। লগি-বৈঠা আর অস্ত্রধারীদের হাতে একের পর এক আহত হতে থাকে নিরস্ত্র জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। তারা শিবির নেতা মুজাহিদুল ইসলামকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। লগি-বৈঠা দিয়ে একের পর এক আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে জামায়াত কর্মী জসিম উদ্দিনকে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা তার লাশের উপর ওঠে নৃত্য-উল্লাস করতে থাকে। টার্গেট ছিলো নেতৃবৃন্দ সেদিন আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা বাহিনী শুধু জামায়াতের সভা পণ্ড করার জন্যই পৈশাচিক হামলা চালায়নি, তারা জামায়াতকেই নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল জামায়াতের সভামঞ্চে আগুন ধরিয়ে দিতে। প্রথম দফা হামলার পর তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকে। আশপাশের ভবনের ছাদে উঠে বোমা ও বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। সভার শেষ দিকে মাওলানা নিজামীর বক্তব্য শুরু হলে তারা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুনরায় হামলা চালায়। একদিকে ভবনের ছাদ থেকে বৃষ্টির মতো বোমা বর্ষণ করতে থাকে। অপরদিকে পল্টন মোড় থেকে গুলী ছুঁড়তে ছুঁড়তে লগি-বৈঠাধারীরা সমাবেশের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এসময় জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা তৈরী করে মানব ঢাল। আওয়ামী অস্ত্রধারীদের ছোঁড়া গুলী মাথায় বিদ্ধ হয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমান ও জুরাইনের জামায়াত কর্মী জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় জামায়াত ও শিবিরের ৬ জন নেতাকর্মী শহীদ এবং আহত হন সহস্রাধিক। হামলা ছিল একতরফাঃ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে বিকেলে সমাবেশের জন্য সকাল থেকেই মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। এ জন্য মঞ্চ তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাসহ জামায়াত ও শিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মী মঞ্চের পাশে ছিল। এ সময় ১৪ দলের নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান করছিলো। তাই জামায়াত ও ১৪ দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অবস্থানের কোন সুযোগ ছিল না। বিকেলে সমাবেশ হওয়ার কারণে সকালে মঞ্চ তৈরির সংশ্লিষ্ট লোক ছাড়া মিছিল করার মতো জামায়াত ও শিবিরের কোন নেতাকর্মী ছিলো না। হঠাৎ করেই সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমের নেতৃত্বে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা হাতে বিশাল মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে আসে। একই সময় এডভোকেট সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে বিজয় নগর থেকে আরেকটি মিছিল পল্টন মোড়ে আসে। এসময় তারা একযোগে ধর ধর বলে জামায়াত ও শিবিরের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। জিপিও এলাকায় অবস্থানরত ১৪ দলের শত শত কর্মী লগি-বৈঠা নিয়ে তাদের সাথে যোগ দেয়। ১৪ দলের কর্মীরা প্রকাশ্যে গুলী করা ছাড়াও লগি-বৈঠা নিয়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একের পর এক আঘাত হানতে থাকে নিরীহ জামায়াত ও শিবিরের কর্মীদের ওপর। মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিতে এগিয়ে যেতে থাকে বায়তুল মোকাররম উত্তর সড়কের দিকে। এ হামলায় পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ডা. এইচবিএম ইকবালও তার বাহিনী নিয়ে যোগ দেয়। সেদিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারি
Total Reply(1)
bashir uddin Ahmed ২ নভেম্বর, ২০২০, ৫:২৬ পিএম says : 0
we must have our justice in the last day of judgement not now. I was one sufferer on that day.
Nazrul Islam Bhuiyan ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:৫৩ পিএম says : 1
নাইন্টি পার্সেন্ট এমপি করাপটেদ
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন