শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতেই পালিয়েছে এসআই আকবর!

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যা মামলা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

দুই দফায় ৮ দিন রিমান্ড শেষেও রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশীদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হননি আদালতে। ২য় দফা রিমান্ড শেষে গতকাল রোববার দুপুরে হারুনুর রশীদকে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমান কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন তাকে। এ তথ্য জানিয়েছেন রায়হান আহমদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই›র পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম।

গত ২৯ অক্টোবর হারুনুর রশীদকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এই মামলায় প্রথম দফায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিলো। এর আগে আরেক পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকেও দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তবে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেননি তিনি। রায়হান হত্যা মামলায় এ এস আই আশেক-ই এলাহিকে গ্রেফতার করে গত ২৯ অক্টোবর ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আদালত।

এদিকে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত এস আই আকবর এখনো পলাতক। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সে সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। এমনকি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। তাকে সহায়তা করে হেলাল আহমদ নামে এক চোরাকারবারি। আকবরের সঙ্গে তার খালাতো ভাই পরিচয়দানকারি সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমানও পালিয়ে গেছেন ভারতে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে হেলালের মাধ্যমে আকবর ও নোমান যে দেশ ছেড়েছেন- তা নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা ও মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হেলালকে ২২ অক্টোবর একটি মামলায় গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ।

১১ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতন ও তার মৃত্যুর পর ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়া কৌশলে গা-ডাকা দেন। ১৩ অক্টোবর বিকেলে এসএমপির তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হওয়ার পরই ওইদিন রাত থেকে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। এর আগে মদিনা মার্কেট এলাকার কালীবাড়ি রাস্তার মুখে ফুলকলি নামের একটি মিষ্টির দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে রাত ৯টা ১৫ মিনিটের সময় সমবয়সী আরেক ব্যক্তির সঙ্গে নাশতা করতে দেখা যায় আকবরকে। ওইসময় তিনি মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে যেন কথা বলছিলেন।

ফাঁড়ির টুআইসি এস আই হাসান উদ্দিন ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বুড়িডহর গ্রামের বাসিন্দা সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমানের সহযোগিতায় ওই কাজটি করেন তিনি। ইতোমধ্যে হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আকবরকে পালাতে সহযোগিতাকারীদের খোঁজে বের করতে তদন্তে নামে পুলিশ সদর দফতরের একটি টিম। পাশাপাশি আকবরের অবস্থান নিশ্চিতে কাজ শুরু করে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, আকবরকে পালাতে সহায়তাকারী হেলাল নামে এক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাকে অন্য একটি মামলায় করা হয়েছে গ্রেফতার। তবে আকবর ও নোমান কোন জায়গায় রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

একটি সূত্র জানায়, খালাতো ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান আকবরকে নিয়ে ১৪-১৫ অক্টোবরের মধ্যে চোরাকারবারি হেলাল আহমদের বাড়ি যান। হেলাল উপজেলার বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল করিমের পুত্র। নোমানের ঘনিষ্ঠজন হেলাল তাকে সহযোগিতা করে। হেলাল বিয়ে করেছেন ভারতের বড়পুঞ্জি বাজার এলাকার আরাকান নামে এক খাসিয়া মেয়েকে। সেই সুবাদে তার অবাধ যাতায়াত ভারতে। সিলেট থেকে পালিয়ে কোম্পানীগঞ্জের কালীবাড়ি গ্রামে প্রথমদিন আকবর ও নোমান অবস্থান করেন। পরদিন মোটরসাইকেলে হেলালের বাড়িতে রাত যাপন করেন তারা। ওইদিন সকালে সীমান্ত ১২৫৫নং পিলার এলাকা দিয়ে আকবর ও নোমান পালিয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ২২ অক্টোবর দুপুরে পুলিশের একটি বিশেষ দল গ্রেফতার করে হেলালকে। তবে এস আই আকবর পলায়নে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত করছে পিবিআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Shahriar Alom ২ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৬ এএম says : 0
সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক দ্রুত।
Total Reply(1)
salman ২ নভেম্বর, ২০২০, ৫:০৮ এএম says : 0
R8, sob sompotti Bajayupto koray RAYHAN er pori bar k deww hok.
Somrat Babar ২ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৬ এএম says : 0
কিছু বুঝতে পারতেছিনা খুন হলে পালিয়ে যায় ভারত, গুম হলে পাওয়া যায় ভারত ভারত কি গুম-খুনের সহঝোগি রাষ্ট্র নাকি?
Total Reply(0)
Md Mazed ২ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৬ এএম says : 0
জার ছেলে তার কাছেই গেছে
Total Reply(0)
Asgar Alim ২ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৭ এএম says : 0
বাংলাদেশের হালদা নদীতে মাছের যেমন অভয়াশ্রম, ঠিক তেমনি ভারত বাংলাদেশের অপরাধীদের জন্যে অভয়াশ্রম।
Total Reply(0)
Taher Taher ২ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
সরকার যদি এই হৃদয়বিধারক হত্যাকান্ডের বিচার করতে আন্তরিক হয়, তাহলে আকবরকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা সরকারের কাছে কোন বিষয় --ই না।
Total Reply(0)
সৈয়দ রাকিব ২ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে গিয়েছ তুমি।
Total Reply(0)
salman ২ নভেম্বর, ২০২০, ৫:০৯ এএম says : 0
Ai JANWAR k palatay Soho Jogita korsay, OI DURNITI Grosto THOLA ra e
Total Reply(0)
Nannu chowhan ২ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৫৫ এএম says : 0
Shorkar ba kortipokher shod ichsa thakle varot theke eai khuni akbar ke ferot ana kono bepareina karon varoter shathe eaishob bepare chukti ase jar jonno onup chetiake varoter hate tule deowa hoyesilo.....
Total Reply(0)
Mahbubur rahman ২ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৭ এএম says : 0
আশাকরি বন্ধুরাষ্ট্র কোন শত্রূকে আশ্রয় দেবে না!
Total Reply(0)
habib ২ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ এএম says : 0
That mean he also Indian spy RAW agent. Bangladesh government should ask India to arrest him and return back. Bangladesh is not secure within Awamleuge government hand.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন