সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাণীশংকৈলে মা ও শিশু হাসপাতালে ভুল অপারেশনে প্রসূতি মার মৃত্যুর অভিযোগ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২০, ৪:২৬ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিকে অবহেলায়, ভূল অপারেশনের ৮ দিন পর অজ্ঞান অবস্থায় রুগীর মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভাড়াটে ডাক্তারের বিরুদ্ধে।
হাসপাতাল ও রুগীর পিতার মরাফত জানাগেছে, গত ২৭ অক্টোবর প্রসূতি মাকে হাসপাতাতে ভর্তি করা হয়। ভর্তির রেজি নং ৬৩/৩৩০৫ কেবিন নং ০৪।
জানগেছে, সোমবার বিকেলে প্রসুতি মাকে সিজার করে একটি ছেলে সন্তান ইস্যু করা হয়। বাচ্চা সুস্থ্য থাকলেও অপারেশনের পর রুগীর জ্ঞান ফিরেনি ২ দিন যাবত। অজ্ঞান অবস্থায় ক্লিনিক থেকে রুগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার অভিভাবক দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতালের কতব্যবরত ডাক্তার সিধান্ত নিয়ে রুগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। ৮ দিন পর ৩ নভেম্বর অজ্ঞান অবস্থায় রুগী মারা যায়। একলামসিয়া ও হাইপেসার রোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় রুগী মারা গেছে। এমন তথ্য জানিয়েছে মেডিকেল টিম। ডাক্তারগণ মন্তব্য করেছে, যেহেতু বাচ্চা ইস্যুর সময় ছিল, রুগীর হাইপেসার নিয়ন্ত্রনে এনে সুস্থ্য করে প্রসূতি মাকে অস্ত্রপাচার করতে হত।
রুগীর পিতা বিসু মোহাম্মদ সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার মেয়ের অপারেশনের আরো ১০ দিন সময় ছিল। পেসার হাই থাকার পরেও তাকে সিজার করেছে ডাক্তার। ভূল চিকিৎসা এবং অপারেশনে ত্রুটি থাকায় অজ্ঞান অবস্থায় ৮দিন পর রুগীর মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগ করলেন পিতা ডাক্তারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মেয়েকে চলে যেতে হল। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করব।
মৃতব্যক্তি হলেন, উপজেলার সন্ধ্যারই গ্রামের বিসুর কন্যা এবং আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী মরিয়ম। তিনি সিজারের ৮ দিন পর অজ্ঞান অবস্থায় দিনাজপুর হাসপাতালে মারা গেছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য খালেদুর বলেন, ঐ ক্লিনিকের ডাক্তার কসাইয়ের মত কাজ করে। ইতি পূর্বে সন্ধারই গ্রামের একজন মাকে ভূল চিকিৎসাসহ ভূল অপারেশন করায় রুগীকে দীর্ঘ দিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছে। একই ঘটনায় একাধিক শিশুকে হারাতে হয়েছে একাধিক মাকে।
এপ্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাফিজু রহমান সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনী বলছেন আমি বিষয়টি খোজ খবর নিব। বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের পঃপ কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, প্রসূতি-মা হাইপেসারের রুগী ছিলেন এবং রুগীর একলেমসিয়া হয়েছিল। এনিয়ে ক্লিনিক ম্যানেজার জাকির 'র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সঠিক উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন