কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঞ্চল্যকর বিকাশ চন্দ্র বর্মন (১৬) হত্যার আসামী সাকিবকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোড়া উদ্ধার করা হয়। মূলত মোবাইল ফোনের জন্যই বিকাশকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিং-এ কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বলেন, গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার রাতে মুরাদনগর জেলে পাড়ার প্রহল্লাদ চন্দ্র বর্মনের ছেলে বিকাশ চন্দ্র বর্মনসহ ৪ বন্ধু লক্ষীপূজায় অর্চনা শেষে মুরাদনগর বাজারে চা খেতে আসেন। চায়ের দোকান খোলা না পেয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে বৃষ্টিতে আটকা পরে গেলে তারা জেলে পাড়ার পুকুর পাড়ের একটি ৬তলা ভবনের নীচে অবস্থান করে। বৃষ্টি হালকা উত্তম বর্মন ও অজয় চন্দ্র সরকার বাড়ি চলে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় বিকাশকে একা পেয়ে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে করিমপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (২৪)। বিকাশ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু দূর গেলেই পিছন থেকে এসে ছুরি দিয়ে পিঠে আঘাত করে সাকিব। আঘাত পেয়ে বিকাশ দৌড়ে বাড়ির দিকে যেতে চাইলে পরক্ষণে তার ঘারে আরো একটি আঘাত করে সাকিব। এ সময় সে পুকুরে পড়ে গেলে সাকিব তার হাতে থাকা ছোড়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে বিকাশের। তখন সাকিবের পকেটে থাকা লাভা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি নিয়ে মৃতদেহটি কচুরিপানার নীচে রেখে চলে যায় সাকিব।
প্রেস ব্রিফিং-এ আরো উপস্থিত ছিলেন, মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহমেদ।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার রাত থেকে বিকাশ চন্দ্র বর্মনের কোন সন্ধান না পেয়ে তার বাবা প্রহল্লাদ চন্দ্র বর্মন গত ১ নবেম্বর রবিবার মুরাদনগর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। গত ২ নবেম্বর সোমবার সকালে বাড়ির পাশের পকুর থেকে বিকাশের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রহল্লাদ চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। ঘটনার ১০দিন পর ঘাতকের ফেলে যাওয়া জুতা ও সাথে থাকা অপর দুই বন্ধুর তথ্য এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে রোববার রাতে ঘাতক সাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন