টেকনাফের এক নারী এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে বিজিবি ।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ব্লাস্টের কর্মী ফারজানা আকতারকে (২৮) আসামি করা হয়েছে।
বিজিবির পক্ষে মামলার বাদী হয়েছেন টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া তল্লাশি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেসিও নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী মোল্লা।
বাদী মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ওই এনজিও নারী কর্মী অহেতুক উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে গণধর্ষণের মতো মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন, যা বিজিবির মতো একটি বাহিনীর ভাবমূর্তিতে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। এ জন্যই বিজিবি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
মামলার বাদীর নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ জানান, আসামি ফারজানা আকতার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে এনজিওটির কর্মী হিসেবে কর্মরত।
তিনি অন্যান্য দিনের মতো গত ৮ অক্টোবর সকালে হ্নীলা থেকে সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে চড়ে টেকনাফ উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের দমদমিয়া বিজিবি তল্লাশি ফাঁড়িতে যথারীতি সিএনজিটি থামানো হয়।
সিএনজির পাঁচজন যাত্রীর মধ্যে অন্য চারজন যথারীতি নেমে নিয়মমাফিক তল্লাশির কাজ সারেন। কিন্তু ওই নারী নিজেকে ব্লাস্ট এনজিওর কর্মী পরিচয় দিয়ে দাম্ভিকতা দেখিয়ে তল্লাশি এড়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এতে বিজিবি সদস্যদের কাছে সন্দিগ্ধ হন তিনি।
পরে বিজিবির নারী সদস্যরা এসে তাঁকে সিএনজি থেকে নামিয়ে তল্লাশি করেন। এতে নারী কর্মী ফারজানা আকতার বিজিবির ওপর ক্ষুব্ধ হন। তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ফাঁড়ির পুরুষ সদস্যরা তাঁকে গণধর্ষণ করেছেন মর্মে অভিযোগ তোলেন।
এমনকি তিনি ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে টেকনাফ থানায় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করতে যান। কিন্তু মামলায় মেডিক্যাল সনদ দরকার জানালে ওই নারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সনদ প্রদান করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন