মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বিএনপি দেশকে দরিদ্র করতে চেয়েছে আর শেখ হাসিনা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার খুলনার বয়রায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনা›র নবনির্মিত সম্মলন কক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনা›র নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার চেয়েছিল দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার দরকার নেই। তা না হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। আমরা দরিদ্র থাকবো, ভিক্ষুক থাকবো। অথচ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে মানুষের মর্যাদা থাকে না। এ জন্য তার জাদুকরী নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমরা আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম শাকিলুজ্জামান ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন খাদ্য বলতে শুধু ধান, চাল, ভুট্টা,গমকেই বোঝায় না, খাদ্যের একটি বড় অংশ হচ্ছে মাছ, মাংস, শাকসবজি। ভিক্ষুকের জাতির কোনো মর্যাদা থাকে না।
বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য নিয়ে শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালে কয়েক লাখ মানুষ বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছে, যারা এখন বেকার। দেশের ভেতরে অনেকে বেকার হয়ে গেছে। এ সময় গার্মেন্টস খাত ও প্রবাসীআয় বাধাগ্রস্ত হয়েছে। করোনার কারণে আমাদের কাঁধে এখন লক্ষ লক্ষ বেকার। এ জন্য আমরা প্রত্যেক বেকারকে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তাদেরকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদন কাজে সহায়তা করা হবে। সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে। প্রান্তিক মানুষদের সরাসরি নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে, যাতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন