জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নিজেদের কর্তৃত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জর্দান। তাদের উদ্বেগ, ইসরাইল ও সউদী আরবের মধ্যে যে কোনও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জেরুজালেমের ইসলামিক পবিত্র স্থানগুলোর ভাগ্য শঙ্কায় পড়তে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অবশিষ্ট সপ্তাহগুলোতে উদ্বেগ বিশেষভাবে জোরালো হয়েছে।
আম্মানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে আল-আকসার ‘ঐতিহাসিক ও আইনী অবস্থার পরিবর্তন’ করার যে কোন প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। কোনও স্পষ্ট অনুঘটক ছাড়াই এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে বৈঠকের ফলশ্রুতিতে এর উদ্ভব হয়েছে। ইসরাইলি ও আমেরিকান মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হওয়া সত্তে¡ও সউদী যুবরাজ বৈঠকটি অস্বীকার করেছেন।
রিয়াদ ও তেল-আবিবের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনায় জর্দানের জনগণ উদ্বিগ্ন। তারা আশঙ্কা করছেন যে, জর্দানের দক্ষিণ সীমান্তে দখলকৃত রাষ্ট্র এবং পূর্ণ রাজতন্ত্রের মধ্যে একটি চুক্তিতে মিষ্টতা আনয়নের জন্য সউদীদের আল-আকসার হেফাজতের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ‘জেরুজালেমের মুসলিম ও খ্রিস্টান পবিত্র স্থানের হাশেমি জিম্মাদারী মেনে মসজিদটি রক্ষা ও যত্ম এবং সব মুসলমানের অধিকার রক্ষায় জর্দানের রাজতন্ত্র তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে’।
গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত জো বাইডেন এবং জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর মধ্যে একটি সাক্ষাতের পরে আম্মানের এ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বুধবারের বিবৃতিতে দু’জনের মধ্যে সমন্বয় ছিল।
পবিত্র শহরের অবস্থান ইসরাইলের দখলিত এলাকায় হলেও আল-আকসা মসজিদ, সেইসাথে রক মসজিদের গম্বুজ এবং অন্যান্য ইসলামিক ও খ্রিস্টান সাইটগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা জর্ডানের হাতে রয়েছে। এ পরিবর্তন হিংস্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সউদী আরবে উত্তর মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠকের জন্য নেতানিয়াহুর সাথে বিমানে থাকা ট্রাম্প এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মুসলিম সাইটগুলোর প্রস্তাব দিয়ে সউদী আরবকে এই স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন বলে জানা গেছে। এটি ছিল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তির কেন্দ্রবিন্দু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন