দেশে পর্যাপ্ত চাল উৎপাদন হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারই প্রথম আমন ধানের দর ১ হাজার টাকা বা তারও বেশি থাকায় কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছে। এর মধ্যেই চাল আমদানির ঘোষণায় কৃষকদের সেই আশা ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমনের দর কমে গেছে। ভরা মৌসুমে আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই চাল কিনতে খরচ হবে ২ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫০ হাজার টন নন-বাশমতি সিদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর সুপারিশ করা দরদাতা হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের এম এস পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড।
প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে আবু সালেহ বলেন, ভারত থেকে এ চাল আসবে। প্রতি টন ৪১৬ মার্কিন ডলার দরে ৫০ হাজার টন চালের জন্য মোট খরচ হবে ২ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দেশের বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত এ চালের খরচ পড়বে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজ থেকে ৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ২৫ হাজার টন বাল্ক প্রিল্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদনের প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়।
এছাড়া সভায় সউদী আরবের মাদিন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৬ লাখ টন ডিএপি সার আমদানির ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সার কিনতে খরচ হবে ২ হাজার ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন