ঢাকার সাভারে এক যুবককে কুপিয়ে ও লা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এক যুবক ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও শাবল উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের দক্ষিন জামসিং মহল্লার একটি শুকনো বিলের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো: মিলন (২০) সাভার পৌর এলাকার জামসিং মহল্লার ফজলুল হকের ছেলে। সে টাইলস মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, দুপুরে সাভারের জামসিং এলাকায় মিলন বাড়ির কাছে একটি শুকনো বিলের পাড়ে লাউয়ের চারা রোপন করতে যায়। এসময় বিলের মালিক প্রতিবেশী মহি উদ্দিনের ছেলে ইমন মিয়াও একইস্থানে লাউয়ের চারা রোপন করতে যায়। এর কিছু পরেই মিলনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। তবে এলাকার অনেকেই ইমনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।
মিলনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে রক্তমাখা কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তবে শাবল, দা ও একজোড়া জুতা লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে এঘটনার পর থেকে ইমনের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পরিবারের সদস্যরাও পালিয়ে যায়।
নিহত মিলনে বাবা ফজলুল হক জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ বাড়ির পাশে বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করছিলো মিলন। বেলা ১১ টার দিকে মিলন বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে সেই বিলের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনের নিথর মরদেহ দেখতে পান তিনি।
এটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন