সুনামগঞ্জের ছাতক রেলওয়ে বিভাগের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে রেলওয়ের প্রধান সহকারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জনৈক ব্যক্তি রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী পূর্ব (সিআরবি) চট্টগ্রাম বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কর্তৃপক্ষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রধান সহকারী, ভারপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত এক মোটর ড্রাইভারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
লিখিত অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী ছাতক বাজার শাখার প্রধান সহকারী সুরঞ্জন পুরকায়স্থ, ভারপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুর ও তার ছেলে ভারপ্রাপ্ত মোটর ড্রাইভার মাহবুবুর আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পিতা-পুত্র একই দপ্তরে থেকে ছাতক রেলওয়ে শাখাকে জিম্মি করে রেখেছেন। মোটর ড্রাইভার মাহবুবুর আলমের নামে রয়েছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এখানে নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় স্থানীয় দপ্তর পুরো নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রধান সহকারী সুরঞ্জন পুরকায়স্থ। তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে কর্মচারীদের অবসর কালীন চূড়ান্তকরণ বিলের নিস্পত্তির জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। লোকবল সঙ্কটের কারণে ১০জন টিএলআর নিয়োগ দেওয়ার আদেশ হলেও সুরঞ্জন পুরকায়স্থ ও আব্দুল নুর গত আগষ্ট মাস থেকে ৫ জনকে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দিয়ে প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি ভূয়া টিএ বিল তৈরি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের কথাও আছে।
ভারপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারী এলাকায় বালু-পাথর বিক্রি, রেলওয়ের বাসা-বাড়ি ও নদী সংলগ্ন এলাকা ভাড়া দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহবায়ক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-৪) মীর আলমগীর হোসেন তদন্ত কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করে ইনকিলাবকে বলেন, শিগগিরই তদন্ত কমিটির বৈঠক বসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন