দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভুত হয়েছে দেশের মামলা জট। এটি একদিনে তৈরি হয়নি। এ জট নিরসনে সময় লাগবে। একটি সিস্টেম রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই দেশের মামলাজট সমস্যা সমাধানে প্রথম সচেষ্ট হয়েছে। এ মন্তব্য করেছেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি গতকাল রোববার ঢাকার সিরডাম অডিটরিয়ামে ‘ডেভেলপমেন্ট প্লানিং এক্সপেরিয়েন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বনানীর বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেনিমারে যুক্ত হন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
আনিসুল হক আরও বলেন, ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের সময় বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছিল না। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অবকাঠামো নির্মাণসহ নতুন নতুন বিচারক নিয়োগ দিচ্ছেন। বিচারকদের প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সুবিধা দিচ্ছেন। পাশাপাশি আদালতের বাইরে বিকল্প উপায়ে অর্থাৎ এডিআর-এর মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করে মামলাজট কমানোর চেষ্টা করছেন। এর সুফল আমরা অবশ্যই পাবো।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বিচারকদের স্বাধীনতা,বেতন ভাতা, সুযোগ সুবিধা-সবক্ষেত্রে তাদের প্রতি অন্যান্য সরকারের সবচেয়ে বেশি অনীহা ছিল। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৩-৯৪ সাল পর্যন্ত এমন পর্যায় হয়েছিল যে, আসামির সাজা খাটা হয়েছিল অথচ কোর্টে মামলা করা যায় নি। সে কারণেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত¡বধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাজা কমিয়ে অনেককে জেলখানা থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
সেমিনারে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো.মইনুল কবির সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীনও বক্তব্য রাখেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, স্টোরেজ এবং মজুতদারী দু’টি এক বিষয় নয়। মজুতদারীর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য মার্কেটে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন হলে সেটা করবে। কারণ ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে এরকম একটি সংকট তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেজনই্য বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ প্রনয়ণ করা হয়েছিল। এই আইনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি হলো মজুতদারী এবং চোরাকারবারী। মজুতদারীর ব্যাপারে সরকার শুধু মার্কেটে হস্তক্ষেপ করবে না, আইন অনুযায়ী মজুতদারদের শাস্তি দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার লাভ করার জন্য ব্যবসা করে না। যেখানে বেসরকারি খাতের কোন অংশগ্রহণ সেখানে সরকার ব্যবসা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন