শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত চাইলেন আইনমন্ত্রী

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২২, ৬:১৫ পিএম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাসের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ অনুরোধ জানান। এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রী নিজেই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার পক্ষ থেকে আমি ওনাকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) পরিষ্কার বলেছি, আমার একটি দাবি আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং আদালতের সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি রাশেদ চৌধুরী সেখানে (যুক্তরাষ্ট্র) পালিয়ে আছেন। তাকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ করছি। জবাবে তিনি (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) যেটা বলেছেন, সেটা হচ্ছে, এটা তো একটা বার্নিং ইস্যু। এ ইস্যুগুলো ত্বরিৎ ফয়সালা করা উচিত। এ বিষয়টিতে আমাদের পারষ্পরিক সম্পর্কে নেতিবাচক ছায়া পড়ুক সেটা তিনি (রাষ্ট্রদূত) চান না। সেটা নিয়ে কিছু মডালিটির আলাপ হয়েছে। যেগুলো আমি এখন বলবো না। সেই মডালিটি অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাবো, সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের পর আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হ্যাসের এটিই প্রথম সাক্ষাদ। আনিসুল হক বলেন, এটা কিছুটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। অ্যাপয়েন্টমেন্ট চিঠিতে দুটো টপিক উল্লেখ ছিলো। ওনারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনায় আমি ওনাকে বলেছি, এ অ্যাক্ট সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য করা হয়েছে। আমি ওনাকে এটা বলেছি, অনেক দেশের সংবিধানের তুলনায় আমাদের সংবিধান আলাদা। আমাদের সংবিধানে ফ্রিডম অব প্রেসকে আলাদাভাবে গ্যারান্টি করা হয়েছে ফান্ডামেন্টাল রাইটসের মাধ্যমে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কখনোই বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটি সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি এর কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটাও উল্লেখ করেছি।

তিনি আরও বলেন,আমরা যে জতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের অফিসের সঙ্গে বেস্ট প্রাকটিসের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শক এসেছিলেন তার সঙ্গে যে আলাপ করেছি, সেগুলো উল্লেখ করেছি। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বললেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করতে চায়। আমি বলেছি, এটা অবশ্যই বিবেচনাধীন থাকবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনজীবীদের যদি এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করা যায়, তাহলে সেটা ভালো হবে। তারা যে জজ ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছেন, সেটিও আমি উল্লেখ করেছি। সেখানে যে বিষয়টি ওঠে এসেছে তা হচ্ছে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালের কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অত্যন্ত সন্তুষ্ট, সেটা তিনি বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখবেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, আর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেবেন তারা।

আরেকটা বিষয় আলোচনার মধ্যে ছিলো, সেটি হচ্ছে, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের দায়ের করা একটি মামলা, যেটা আদালতে বিচারাধীন। সেই বিষয়ে বলেছি, আদালত স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ মামলায় প্রসিকিউশনের দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করে সেটা আমরা দেখবো।

আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) উল্লেখ করেছেন, দূতাবাস হয়তো তাদের একজন আইনজীবী সেখানে নিয়োগ করতে পারেন। সেই রকম একটা পারমিশন হয়তো চাইবেন। আমি বলেছি, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু বিষয় আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হয়েছে সেটাও আলোচনা করেছি। দু’দেশের সম্পর্ক যাতে আরও দৃঢ় হয় সেটিই আমরা চেষ্টা করবো, সেই ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন