ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে নিখোঁজের সাতদিন পর রিপন বিশ্বাস (৩৪) নামের এক কৃষকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চর রুপদা গ্রামের একটি পতিত ডোবার মধ্যে মাটি চাপা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। সে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে। গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৯টার দিকে রিপন বাড়ির পাশের মাঠে ধান পাহারা দিতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। একদিন পর দিন ১০ ডিসেম্বর নিহতের ভগ্নীপতি নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে শৈলকুপা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
নিহতের ভগ্নীপতি নজরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের সাতদিন পর গতকাল সকালে রিপনের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবায় মাটি এলোমেলো দেখে সেখানে খোঁজাখুজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। সেখানেই পাওয়া যায় রিপনের লাশ। রিপন বিশ্বাস দেড় বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে কৃষি কাজ শুরু করেন। এরপর থেকেই পরিবারের সাথে তার জমি-জমাসহ নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। নিহতের প্রতিবেশিরা জানায়, সম্প্রতি জমিজমা নিয়ে রিপনের সাথে তার অন্য ভাইদের বিরোধ শুরু হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেও ভাইদের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে একে অপরের দিকে ধারালো দা নিয়ে চড়াও হয়। তবে পরিবারের অন্যরা তা থামিয়ে দেয়। রিপন নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর থেকে তার মেজো ভাই রান্নু বিশ্বাসও নিখোঁজ রয়েছে।
ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম ও শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করেছে। আপাতত লাশের শরীরের তেমন কোন ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। হত্যার ক্লু-উদঘাটন ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ চলছে। আশা করি দ্রæতই দোষিরা গ্রেফতার হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন