দীর্ঘ করোনাকালীন লকডাউন শেষে জট খুলেছে কক্সবাজারের শ্রম বাজারে। আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে স্থবির অর্থনীতি। কৃষি, নির্মাণ, মৎস্য আহরণসহ বিভিন্ন খাতে নতুন উদ্যমে কর্মকান্ড শুরু হওয়ায় শ্রমবাজার যেমন চাঙ্গা তেমনি কক্সবাজারের অর্থনীতিতেও এসেছে তেজী ভাব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউন পরবর্তী জেলার অর্থনৈতিক খাতগুলো আবার শুরু হয়েছে নতুন করে। এসব খাতে আয় রোজগারের ব্যবস্থা হয়েছে হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষের। করোনাকালীন লকডাউনের সময় এসব শ্রমজীবী মানুষের দুর্বিসহ কষ্ট হলেও এখন সেই অবস্থা কেটে যাচ্ছে।
জেলার ৮ উপজেলায় ধান কটায় প্রচুর শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। স¤প্রতি কক্সবাজারে সড়ক উন্নয়নে যেন বিপ্লব হয়েছে। এতে হাজারো শ্রমজীবীরা কাজ করছে। সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা এখন নেই। মৎস্য আহরণ খাতে হাজার হাজার শ্রমিক এখন জীবিকার সন্ধানে ব্যস্ত। আবাসন খাতে স্থবিরতা এখন নেই। জেলার সর্বত্র নির্মাণ কাজে শ্রমিকরা ব্যস্ত। পর্যটন খাত সচল হওয়ায় হাজারো শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার পথ খুলেছে এখানে। ইতোমধ্যে লবণ মাঠে নামতে শুরু করেছে হাজার হাজার শ্রমিক। এছাড়াও জেলার আর্থিক খাতগুলো সচল হওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষের এখন বেকারত্ব আর নেই। তাদের জীবনে ফিরেছে সুদিন।
কক্সবাজারের সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এবং কক্সবাজার জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক খান বলেন, শ্রমজীবী মানুষের জন্য করোনাকালীন এক দুর্বিসহ সময় গেছে। এখন জেলার সকল অর্থনৈতিক খাতগুলো সচল হয়েছে। এতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনেও ফিরেছে সুদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন