ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গার পরিবর্তে যে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেখানে নির্মিতব্য মসজিদের নকশা ও নির্মাণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। নতুন জমিতে যে মসজিদ নির্মাণ করা হবে তা ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের চেয়েও আকারে বড়, সেই সঙ্গে মসজিদের পাশে থাকবে হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন ও লাইব্রেরিও। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রস্তাবিত মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হবে। হাসপাতালের কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে নির্মিতব্য ম‚ল মসজিদটিতে থাকছে বিশালাকার একটি গম্বুজ। স্থাপত্যবিদ অধ্যাপক এস এম আখতার ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, নকশায় প্রস্তাবিত মসজিদ নির্মিত হলে এতে একসঙ্গে দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ভারতের ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) সাধারণ সম্পাদক আতাহার হুসেইন গণমাধ্যমকে বলেছেন, হাসপাতালে থাকবে বিনাম‚ল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আর কমিউনিটি কিচেনে থাকবে দুঃস্থদের জন্য দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা। পুরো মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে উল্লেখ করে তিনি আরও জানিয়েছেন, ভেতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকবে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলেন স্থানীয় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। সেই স্থানে হিন্দু দেবতা রামের জন্মস্থান বলে দাবি করেন তারা। এ নিয়ে চলা মামলায় প্রায় ২৭ বছর পর গেল বছর ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রামমন্দির নির্মাণের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অযোধ্যাতেই বিকল্প কোন স্থানে মুসলমানদের জন্য মসজিদ নির্মাণে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে লক্ষ্ণৌ-গোরক্ষপুর মহাসড়কের কাছে ধানিপুরে জমি দেওয়া হয়। ওয়াকফ বোর্ড পরে ওই জমিতে মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে আইআইসিএফ গঠন করে। ইন্ডিয়া টুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন