মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৫৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে এমনিতে বাংলাদেশ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। এদেকে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ধাক্কায় পোশাকের আমদানি কমে গেছে ব্যাপকহারে। দেশটির পোশাক আমদানির তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে পোশাক আমদানি কমেছে ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব দেশের রপ্তানি কমলেও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালের প্রথম ১০ মাসে দেশটি ৭ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের পোশাক কিনলেও এবার তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯৫ কোটি ডলারে। মূলত করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় সার্বিকভাবে চাহিদা কমায় দেশটির পোশাক আমদানি এত বেশি হারে কমেছে।

করোনার প্রভাবে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ওটেক্সটার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশটিতে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো করেছে প্রতিযোগী কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান। এরমধ্যে ভিয়েতনামের রপ্তানি কমেছে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে অন্য সব দেশের রপ্তানি কমলেও উল্টো বেড়েছে কম্বোডিয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে অন্য দেশগুলোর রপ্তানি কমার হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে চীন থেকে, প্রায় ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যদিও চীন থেকে পোশাক আমদানি কমার পেছনে করোনার পাশাপাশি বাণিজ্যযুদ্ধও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইউরোপের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সাধারণ মানের এবং কম দামের পোশাক বেশি রপ্তানি হয়ে আসছিল। করোনায় মানুষের আয় কমে যাওয়া এবং উচ্চমূল্যের পোশাকের ব্যবহার কম হওয়ায় সাধারণ মানের পোশাকের চাহিদা খুব কমেনি। এ কারণে সেখানে তুলনামূলক ভালো করেছে। তবে বিভিন্ন সুবিধার কারণে প্রতিযোগী দেশগুলো আরও ভালো করছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, করোনা ছাড়াও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে সেখান থেকে পোশাক কম নেওয়ার সুযোগ কিছুটা বাংলাদেশ পেয়েছে। তবে এই সুবিধার বেশিভাগই গিয়েছে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পকেটে। সেই সঙ্গে পাকিস্তান এবং মিয়ানমারও পেয়েছে। এসব দেশের নিজস্ব গভীর সমুদ্রবন্দর থাকায় তারা লিড টাইমে (ক্রয়াদেশ নেওয়ার পর পণ্য জাহাজীকরণ পর্যন্ত সময়) আমাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় (পরিমাণে) এখনো শীর্ষে চীন। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া। আলোচ্য ১০ দেশের মধ্যে ৯টিরই রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে।

চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি আয় হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, ভারতের ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মেক্সিকোর ৩২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, হন্ডুরাসের ৩৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও কোরিয়ার ২৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
habib ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৮ এএম says : 0
Indian influence over the Bangladesh garments sectors is the cause of happens
Total Reply(1)
said ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:১৭ পিএম says : 0
Indian political influence over Bangladesh garments sector might have the causes decline the rate of export however, a chance remain in near future the export go up.
Mahfuz Rahman ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৫৬ এএম says : 0
Bangladesh can cross the limitations but government should take effective action against the obstacles!
Total Reply(0)
মোঃ আশরাফুল হক ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৫৪ এএম says : 0
বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা দূর্নীতি
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন