লক্ষ্মীপুর জেলা সদরে চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় ৪ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সিআইডি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি হাফিজ আজিজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনের (৩৫) বাসায় (বসু মিয়ার বাড়ি) ৯ সদস্যের এক ডাকাত দল ১৮ ডিসেম্বর ডাকাতি করে। এই ডাকাত সদস্যের মধ্যে চারজনকে ১০ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে সিআইডি।
অতিরিক্ত ডিআইজি হাফিজ আজিজ বলেন, ডাকাত দল মই ব্যবহার করে প্রথমে বিল্ডিং এর ছাদে ওঠে, পরে সিঁড়ির দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। সংঘবদ্ধ ডাকাত সদস্যরা ডাকাতিকালে মনির হোসেন ও তার স্ত্রী লিমন বেগমের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে মনির হোসেন মৃত্যুবরণ করে। এ সময় ডাকাত দল স্বর্ণালংকার, গচ্ছিত টাকা, মোটর সাইকেল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মামুনুর রশীদকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুর ডাকাতির কথা স্বীকার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সিআইডি অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাত আবুল কালাম আজাদ, ফারুক ও আইয়ুবকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের তথ্য অনুযায়ী দ্বীন মোহাম্মদের বাসা থেকে ২ লক্ষ টাকা, ১ ভরি স্বর্ণ ও ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অপরাধ সংঘটেনের পর থেকে সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম) এই ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার করেন।
প্রসঙ্গত: লক্ষ্মীপুরে বাসায় ঢুকে ডাকাতির সময় মনির হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ডাকাত দল। এসময় তার স্ত্রী মিলন বেগমকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনির তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও আন্ধারমানিক গ্রামের আলি আহম্মদ বাসুর ছেলে। পেশায় তিনি ইটভাটার মাটির সর্দার ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান বলে জানা গেছে। তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন