চট্টগ্রামের আনোয়ারায় উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মধ্যম শিলাইগড়া গ্রামে গত সোমবার সন্ধ্যায় কোরিয়ান ইপিজেডের এক শ্রমিক ও এক সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে আনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষক মো. আরমান হোসেনকে গ্রেফতার করলেও ও তার সহযোগী মো. রাশেদ পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, ধর্ষিতা ওই নারী প্রতিদিন সিএনজি অটোরিকশা যোগে কর্মস্থল আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজেডে আসা যাওয়া করত। সেই সূত্রে আরমানের সাথে পরিচয় ঘটে। সোমবার সন্ধ্যায় গার্মেন্টস ছুটির পর সিএনজি অটোরিক্সা যোগে বাড়ি ফেরার পথে আরমান সিএনজি চালকের সহযোগিতায় ওই নারীকে বারখাইন ইউনিয়নের মধ্যম শিলাইগড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী আনোয়ারা থানায় এসে বারশত ইউনিয়নের দিঘীর পাড় এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র ধর্ষক মো. আরমান হোসেন ও বারখাইন ইউনিয়নের শিরাইগড়া গ্রামের মো. রাশেদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আরমানকে গ্রেফতার করে এবং ধর্ষণের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়। তবে রাশেদ পলাতক রয়েছে। পুলিশ জানায় আরমান বিবাহিত এবং ধর্ষিতা ওই নারী ১ সন্তানের জননী।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ জানান, কেইপিজেড শ্রমিক ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী মামলা করেছে। পুলিশ ধর্ষণ কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ ধর্ষক আরমাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন