শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যানচলাচলে ধীরগতি

সালেহপুর সেতুর গার্ডারে ফাটল

সেলিম আহমেদ, সাভার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের আমিনবাজার সালেহপুর সেতুর নিচে এক পাশের (গার্ডার) ভিমে ব্যাপক ফাটল দেখা দেয়ায় দ্বিতীয় দিনেরমত এক পাশে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রাজধানীর সঙ্গে সাভার ও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে গতকাল সকালে ফাটল সেতুটি পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) অতিরিক্ত প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খাঁন।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ফাটল সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রæত মেরামত শেষে দু’পাশে যানচলাচলের জন্য উপযোগী করা হচ্ছে। তবে আজ থেকে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হতে পারে। এছাড়া পুরো সেতুটি মেরামত করতে আরও তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। ফাটল ব্রীজের পাশে খুব শীঘ্রই চার লেনের একটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে গতকালও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে গাড়ির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আবার ফাটল সেতুটি দেখার জন্য উৎসুক জনতারও ভীড় লেগেই রয়েছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের আমিনবাজারের সালেহপুর সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। সেতুর নিচে আটটি ভীমের মধ্যে চারটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে সেই সাথে এক পাশে দেবেও গেছে।
সওজ কর্মকর্তারা আরও জানায়, মহাসড়কের সাভারের আমিনবাজারের সালেহপুরে তুরাগ নদের ওপর নব্বইয়ের দশকে প‚র্ব ও পশ্চিম পাশে পাশপাশি দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। প‚র্ব পাশের সেতু ব্যবহার হয় রাজধানীতে যানবাহন ঢোকার জন্য। আর পশ্চিম পাশের সেতু ব্যবহার হয় রাজধানী থেকে যানবাহন বের হওয়ার জন্য। সেতুর নিচে এক পাশের (গার্ডার) বিমে ফাটলের কারনে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে এক লেন বন্ধ করে সংস্কারের কাজ করছে ঢাকা সড়ক বিভাগ। ফলে মহাসড়কটিতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে কাজ করছেন পুলিশ। বুধবার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সকাল ৬ টা থেকে যান চলাচলে (সাভার থেকে ঢাকাগামী) এক পাশে নিষেধজ্ঞা দেয় ঢাকা সড়ক বিভাগ। এর পর থেকে ধীরে ধীরে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সবুর খাঁন বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য এক লেন বন্ধ করা হয়েছে। একারনে যে লাইনে গাড়ি বেশি তখন অপজিট লাইন বন্ধ করে সেই লাইনে যেতে হচ্ছে। তবে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভোগান্তি আছে এখনও।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন