আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জার সম্প্রতি নানা কথার কারণে দেশব্যাপী বেশ আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি তিনবারের মেয়র। এবারও প্রার্থী হয়েছেন।
নানা আলোচনার জন্ম দেওয়া নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন আজ। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এরই মধ্যে বিভিন্ন পথসভা ও কর্মিসভায় হাফ ডজন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে মন্তব্য ও সমালোচনা করে দেশের রাজনীতিতে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। ফলে সবার চোখ এখন বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের দিকে।
এদিকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আলোচিত মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা ভোট দিয়েছেন।
বিভিন্ন কেন্দ্র পরির্দশন শেষে শনিবার সকাল ৮ টার দিকে ১নং ওয়ার্ডের উদয়ন প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ভোট দেন তিনি।
প্রথমবারের মত ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে বসুরহাট পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নোয়াখালী জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরির্দশন শেষে সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা ১নং ওয়ার্ড উদয়ন প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ভোট দেন।
নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি নির্ভেজাল ও সংশয়মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখানে নয় কেন্দ্রে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, তিনটি টিমে ২৪জন র্যা্ব, ৮০ জনের চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা, বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর মোশারফ হোসেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে থাকছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারের ৪০০ সদস্য। আরও থাকছে র্যাবের তিনটি টিম, বিজিবি ৪ প্লাটুন, পুলিশের মোবাইল টিম নয়টি, স্ট্রাইকিং টিম দুটি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়জন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একজন। বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রধান দুই দলের প্রার্থীসহ আছেন মেয়র প্রার্থী তিনজন, কাউন্সিলর ২৫ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাতজন। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ২১ হাজার ১১৫, নারী ভোটার ১০ হাজার ৪৯৪, পুরুষ ১০ হাজার ৬২১ জন। প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ বসুরহাট পৌরসভার মোট জনসংখা প্রায় ৩৫ হাজার, আয়তন ৬.৫ বর্গ কিলোমিটার।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন