হোয়াইট হাউসে থাকতে যা যা করার তার সবটাই করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু অবশেষে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন। অপমান, লজ্জা ও বেদনা নিয়ে ২০ জানুয়ারি সকালে ওয়াশিংটন ছেড়ে ফ্লোরিডার পাম বিচের মার-এ-লাগো ক্লাব হাউসে ট্রাম্প চলে যাবেন স্বপরিবারে। এ সময় হোয়াইট হাউসের বিপরীতে রাস্তার অপর পাশে ব্লেয়ার হাউসের রাষ্ট্রীয় অতিথি শালায় থাকবেন শপথ নিতে অপেক্ষমান নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন। -সিএনএন

এয়ারফোর্স ওয়ানে এটা হবে ট্রাম্পের শেষ যাত্রা। যদিও এ যাত্রায় তার প্লেনের কল সাইন এয়ারফোর্স ওয়ান থাকবে না। জো বাইডেন শপথ নিলেই বদলে যাবে প্লেনের কল সাইন। প্রেসিডেন্ট ওবামা যখন ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের চাবি তুলে দিয়ে বিদায়ী যাত্রায় এয়ারফোর্স ওয়ানে চড়ছিলেন তখন প্লেনের কল সাইন হয়ে গিয়েছিল স্পেশাল মিশন ৪৪। একইভাবে ট্রাম্পের ফ্লাইট এর কল সাইন হতে পারে স্পেশাল মিশন ৪৫। এর আগে ট্রাম্পের মালামাল নিয়ে আগেই ওয়াশিংটন ছেড়ে যাচ্ছে মুভিং কোম্পানির বিশাল ট্রাক। ট্রাম্প কন্যা ইভানকা ট্রাম্প ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও এয়ারফোর্স ওয়ানে করে তার সঙ্গী হচ্ছেন। মেলানিয়া ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের স্টাফরা এখন ট্রাম্প পরিবারের জিনিসপত্র প্যাকিংয়ের কাজে ব্যস্ত । যদিও নির্বাচনে হার না মানা ট্রাম্পের অগোচরে এই কাজ আগে থেকেই শুরু করেছিলেন ফার্স্ট লেডি।

মেলানিয়া ট্রাম্পের কপালে হোয়াইট হাউসের নতুন অতিথি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনকে কফি পানে আপ্যায়নের সুযোগ মিলল না। মার্কিন ঐতিহ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ফার্স্টলেডি ও প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডিকে প্রথমে কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন হোয়াইট হাউসে। তারপর নতুন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডিকে মেরিন ওয়ানের হ্যালিপ্যড পর্যন্ত বিদায় জানিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসেন। আরো ৩ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে ১৮০১ সালে জন আ্যডামস, ১৮২৯ সালে তার ছেলে জন কুইন্সি আ্যাডামস এবং ১৮৬৯ সালে উইলিস গ্রান্ড পরবর্তী প্রেসিডেন্টদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি ।