পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। অভিযোজন আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হলেও, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কম কার্বন নিঃসরণেও বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি মতো কাজ করে চলেছে। ঝড়ের তীব্রতা কমানোসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাসে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনি তৈরির কাজ চলমান আছে।
গতকাল আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন কেন্দ্র (আইসিসিএসিএডি), গ্লোবাল সেন্টার অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) এবং জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) আয়োজিত ৭ম বার্ষিক গবেষণা গ্লোবাল সম্মেলনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন হতে যুক্ত হয়ে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে জিসিএ এর সহ-সভাপতি বান কি মুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী এবং জিসিএর বিশিষ্ট ফিলো আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিসিএইডির পরিচালক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় দেশের সবচেয়ে অসহায় ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমান সরকার একটি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রস্তুত শুরু করেছে। দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অনুমোদিত এবং গৃহীত হয়েছে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে জলবায়ু সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির কার্যক্রম জরুরিভাবে জোরদার করতে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন