শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গ্রামবাসীর গড়া প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল কোটিপতি

সিংড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা সংক্রমণে সারাদেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দর স্কুল-কলেজের অনিয়ম-দুর্নীতি থেমে নেই। পকেটে কমিটি করে নিয়োগ বাণিজ্যে ও সরকারী অর্থ আত্মসাত করে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শেরকোল বন্দর স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপাল কাজী মহব্বত হোসেন। তার অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্ন দফতরে অনুলিপি দিয়েছেন ইউপি সদস্য কবির হোসেন। অসংখ্য অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালে দান-অনুদান এবং নিজের ঝাড়ের বাঁশ ও মাটিকেটে আগপাড়া শেরকোল বন্দর স্কুল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গ্রামবাসীরা। পরে উচ্চ বিদ্যালয়সহ কলেজে রুপান্তিত হয়। নাটোর-৩ সিংড়া আসনের এমপি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী কলেজ শাখায় একটি চারতলা ভবন বরাদ্দ দিয়েছেন। ভবন নির্মাণের কাজও শেষের দিকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন ওই প্রিন্সিপাল। স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা কত তিনি ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারেন না। নিয়োগ বাণিজ্যর পাশাপাশি সরকারী দান-অনুদানের টাকায় নাটোর শহরে বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছেন তিনি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম ও গ্রাম্য ডা. ইসরাফিল বলেন, হিসেবে-নিকেশ চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে এড়িয়ে যান। ১৯৯০ সাল থেকে অদ্যবদি কোন হিসেবে নিকেশ দেননি প্রিন্সিপাল । প্রতিবাদ করলেই স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য থেকে বাদ দেয়া হয়। তার মনোনীত লোককে স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্য করে কোটি টাকা কামিয়ে নিয়ে বাড়ি-গাড়ি করেছেন।
গত বছর সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিস, বিভাগীয় শিক্ষা অফিস ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) সমন্বিত কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগের অনুলিপি কপি পাঠান ইউপি সদস্য কবির হোসেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এবিষয়ে কোন তদন্ত করা হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে অফিসে আসতে হবে। আমার জানামতে ২০১৪ সালের পর ওই প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। প্রিন্সিপাল কাজী মহব্বত হোসেনের মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, এতো অভিযোগ থাকার পরও ওই প্রিন্সিপাল বহাল তবিয়তে নিয়োগ বাণিজ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন