ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে গতকাল রবিবার পদত্যাগ করেছেন রাজধানীর মেরুল বাড্ডা বেসরকারি শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ড. মো. জাকির হোসেন। তার দুর্নীতির প্রতিবাদ ও তাকে অপসারণের দাবিতে শনিবার বিকেল ৩টায় মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, অবস্থা বেগতিক দেখে গতকাল রবিবার তিনি স্কুলে এসে পদত্যাগ করেন। তখন বাড্ডা থানার সাব ইন্সপেক্টর শহীদুল্লাহসহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ লাখ টাকার হিসাব প্রদানের জন্য তিনি ২০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন।শনিবার তার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে তখন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ঘণ্টাব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক পরিষদের প্রতিনিধিরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আজিজুল হক, মো. ওয়াছ কুরুনি ও শিক্ষিকা দেলেরা খানম এবং শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রিন্সিপাল ড. মো. জাকির হোসেন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুবর্ব্যবহার, অতিরিক্ত ফি আদায়, পরিচয়পত্র প্রদানে গড়িমশি, ছাত্রী হোস্টেলের ব্যবস্থা না রাখা, শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেওয়াসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। ফলে শিক্ষার্থীদের সংকট বেড়েছে। তারা আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার দিকে তার কোনো তদারকি নেই, কলেজে ক্লাস নিয়মিত হয় না। আমরা কলেজের এই অযোগ্য প্রিন্সিপালের অপসারণ চাই। অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে শিক্ষক পরিষদের নেতারা বলেন, এই প্রিন্সিপাল দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, কথায় কথায় শোকজ এবং বেতন কর্তনের হুমকি দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত অন্যায়ভাবে প্রায় কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অনতিবিলম্বে এই অযোগ্য প্রিন্সিপালকে অপসারণ করে যোগ্য প্রিন্সিপাল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় এমপি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন