নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর, বালু খেকো নেতা ও পুলিশের শেল্টারে তাদের অপকর্মের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে অনেকেই থানা ছেড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ করছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষের আস্থা। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকবে। এক সময় যা আঞ্চলিক আন্দোলনে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) মোসা. আসমা বেগম নামে এক মহিলা নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক অভিযোগ করেন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নয়াআটি মুক্তিনগরের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম আলমগীর হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মির্জা ওয়াহিদের ছেলে মো. সাইদুর রহমান ওরফে ফেন্সি সাইদুর (৪২), হাসেমের বাড়ির ভাড়াটিয়া কবির ওরফে ফর্মা কবির সহ ৪/৫ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, পরবিত্তলোভী ও নারী নির্যাতনকারী। আসমা প্রতিদিন তার ছেলে আলিফকে কোচিংয়ের জন্য বিকেল ৫ টায় বাসা থেকে বের হয়ে ৭ টায় ফেরেন। এ সময় আসামীগন রাস্তায় দাড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি ও বাজে প্রস্তাব দিয়ে থাকে। স¤প্রতি তারা বলছে তাদের প্রস্তাবে রাজী না হলে এসিড দিয়ে ঝলসে দেবে ও তার ছেলেকে অপহরণ করবে। এছাড়াও হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়াসহ আরও অভিযোগ করেন।
তিনি পুলিশ সুপারের কাছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অভিযোগ জানান। আমরা বিষয়টির সূত্রপাতের জায়গা থেকে তদন্ত শুরু করেছি। বালু মহাল দখল, স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রশ্রয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ড ও পুলিশের ভূমিকা সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন শিগ্রই আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন