বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীর রফতানি মুখি একটি জুতা কারখানার নারী কর্মীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় মামুন নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। আটকের প্রতিবাদে গত বুধবার রাতে মহানগর আ.লীগের নেতা-কর্মীরা কাউনিয়া থানা ঘেরাও করা ছাড়াও বরিশালের সাথে দেশের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আন্দোলকারীদের অব্যাহত চাপের মুখে কাউনিয়া থানা মামুনকে আটককারী ফরচুন সু’র মালিকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক যোগাযোগ ও পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী মুখি নৌযানগুলো বরিশাল বন্দর ত্যাগ করে।
দীর্ঘদিন ধরেই বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীতে প্রভাবশালী কিছু বখাটে নারী শ্রমিকদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত বুধবার মামুনসহ কয়েকজন ফরচুন সু’র এক নারী শ্রমিককে রাস্তায় উত্যক্ত করার সময় কোম্পানির মালিকের নজরে আসে বিষয়টি। তিনি মামুন নামে ঐ যুবককে আটক করে স্থানীয় কাউনিয়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি সন্ধ্যার পর মহানগর আ.লীগ নেতৃবৃন্দের নজরে আসলে এ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। প্রথমে ফরচুন সু’র মালিকের বিরুদ্ধে মামুনকে আটক করে মারপিটের ঘটনায় থানার মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এনিয়ে থানার সামনে জটলা থেকে থানা অবরোধ এবং বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা ও বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এমনকি রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখি কোন নৌযান ছাড়তে দেয়নি আন্দোলনকারীরা। থানায় আটক মামুন নগরীর একটি ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বলে দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা।
সবশেষে রাত ১০টার দিকে ফরচুন সু’র মালিকের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানা মামলা গ্রহণ করলে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। ফলে ঢাকামুখি যেসব নৌযান ছেড়ে যাবার কথা ৯টায় তা বন্দর ত্যাগ করে রাত ১১টার দিকে। আটক মামুনকেও রাতেই ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন