শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:০৮ পিএম

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের দরিদ্র মো.সিরাজের কন্যা তাছলিমা আক্তার(২২)কে তাঁর মাদকসেবী স্বামী,তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী তাছলিমা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকার সিরাজের মেয়ে তাছলিমার সাথে চার বৎসর পূর্বে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডার চর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজ চরা গ্রামের কালা চাঁনের পুত্র মো. ফারুকের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে মাদকসেবী ফারুক বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে কারণে অকারণে তাছলিমাকে প্রতিনিয়ত মারধোর করে আসছে।

এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক সামাজিক বৈঠকসহ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার, চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে স্বামী ফারুক ও তাঁর পরিবারকে সতর্ক করা হয়।
সর্বশেষ গত ২০ জানুয়ারি স্থানীয় আন্ডার চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক শালিশ বৈঠকের পর স্বামী ফারুককে কঠোর সতর্ক করে বাড়ি পাঠানোর পর সে(ফারুক)ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পরদিন সকাল তথা ২১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)সকাল দশটায় ফের গৃহবধূ তাছলিমাকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে স্থানীয় কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এনে ভর্তি করে চলে যায়।

বিকেল গড়িয়ে গেলে নির্যাতনের শিকার তাছলিমার পরিবার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তাছলিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পায়।
তাছলিমার পরিবার এ পাশবিক নির্যাতনের খবর স্থায়ী গণ্য মান্য ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর চেষ্টা করলে স্বামী (ফারুক)'র মা' মিনোয়ারা,বোন পান্না, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাছলিমাকে বেড থেকে নামিয়ে অন্যান্য রোগী, হাসপাতাল স্টাফদের সম্মুখে অতর্কিতভাবে পুনরায় বেধড়ক পিটুনি দেয়।এতে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও স্টাফরা হতভম্ব হয়ে পড়ে।

চিকিৎসাধীন তাছলিমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন (বৃহস্পতিবার) সকালে তার স্বামী (ফারুক) তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাসলিমাসহ ননদ পান্না আক্তার,শ্বশুর কালা চাঁন,শ্বাশুড়ি মিনোয়ারা,ননদের স্বামী জামাল কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে (তাছলিমা)কে অমানবিক নির্যাতন করে অচেতন করে ফেলে।তারপরে তারা কখন কিভাবে হাসপাতালে রেখে যায় তার কিছুই সে (তাছলিমা) জানেনা বলে জানায়।এ ছাড়া একই দিন বিকেল বেলা স্যালাইন পুশইন করা অবস্থায় ননদ পান্না হাসপাতাল বেডে হাজির হয়ে তাকে বেড থেকে নামিয়ে সকল রোগীর সামনে আবারো ব্যাপক মারধোর করে পালিয়ে যায় বলে ও তিনি (তাছলিমা) জানান।

উল্লেখ্য যে, ফারুক (স্বামী) বিগত ছয়মাস পূর্বে আন্ডার চর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের আন্ডার গ্রামের খোকনের মেয়ে তাছলিমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে।দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমাকে(১ম স্ত্রী-তাছলিমাকে)নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে তাছলিমার ভাই মো.সোহেল জানান, 'আমার বোনের স্বামী ও তাঁর পরিবারের ধারাবাহিক নির্যাতনের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানসহ গণ্য মান্য যৌতুকের দাবিতে স্বামী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন