শীত ও করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির মধ্যদিয়ে রামগঞ্জ পৌর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে। বিচ্ছিন্নভাবে দুই একটি কেন্দ্রে সহিংসতা ও জবরদস্তির ঘটনা ঘটলেও সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন শেষ হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী বিজয়ী হয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর (সোনাপুর)ওয়ার্ডে মোঃ ফয়সাল মাল, ২ নম্বর (বাঁশঘর) ওয়ার্ডে আবু সুফিয়ান ভূইয়া, ৩ নম্বর (রতনপুর-আউগানখীল) ওয়ার্ডে রাশেদ আলম, ৪ নম্বর (কলচমা)ওয়ার্ডে মনির হোসেন, ৫ নম্বর(নন্দনপুর-সাতারপাড়া)ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন, ৬ নম্বর(কাজিরখীল) ওয়ার্ডে মামুন আখন্দ,৭নম্বর (আঙ্গারপাড়া)ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান সুভ, ৮নম্বর(টামটা)ওয়ার্ডে সহিদ উল্যা,৯ নম্বর(শ্রীপুর-অভিরামপুর)ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান সুমন নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন চলাকালে তিনটি ভোট কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা রামগঞ্জ-চাটখিল সোনাইমুড়ি সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শনিবার দুপুরে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাজিরখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জিতু দেওয়ান ও মামুনুর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড সোনাপুর ওয়ার্ডের সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের নিকট থেকে ব্যালট কেড়ে নেয়ার কারনে কামরুল হাসান ফয়সাল মাল ও ডালিম প্রতীকের শাখাওয়াত হোসেন রাজু সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫জন। আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এর কিছুক্ষন পর টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রেও দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দফায় দফায় হামলা করা হয় গাজর প্রতীকের প্রার্থী মামুন ভূইয়া সমর্থকদের উপর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন