বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সোনালি আসর

মাহির ব্যাংক

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রু মা ন হা ফি জ

আজ খুব খুশি লাগছে মাহির। কারণ, মাহির বাবা তার জন্য বাজার থেকে টাকা জমা রাখার একটা ব্যাংক নিয়ে আসবেন। মাহির বড় আপুরও টাকা জমা রাখার ব্যাংক আছে। বড় আপু যখন মাহির কাছে গর্ব করে বলে, আমার টাকা রাখার ব্যাংক আছে, ব্যাংকে আমার অনেক টাকা আছে। আরো কিছু দিন পরে আমি ব্যাংক খুলবো। দেখবে আমার কত টাকা। আমি এই টাকা দিয়ে কত কিছু কিনবো, খাবো। এসব শুনে মাহিরও ইচ্ছে জাগে তারও যদি একটা টাকা জমা রাখার ব্যাংক থাকতো তাহলে সেওতো ব্যাংকে টাকা জমা করতো। আর আপুর মতো টাকা জমা করে এক সাথে তা দিয়ে কত কিছুই না করতো। আপুর ব্যাংক থাকায় তাকে আম্মু ও বড় চাচ্চু টাকা দেন। ব্যাংক এ জমা রাখতে। আমারও যদি একটা ব্যাংক থাকতো তাহলে আমাকেও তো টাকা দিতেন। মাহি এবার দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে, আর তার বড় আপু ক্লাস ফাইবে পড়ে। মাহি মনে মনে ঠিক করে আজ আব্বু অফিস থেকে বাসায় ফিরলে তার জন্য একটা ব্যাংক কিনে দেওয়ার কথা বলবে। আব্বু-অবশ্যই তার কথা রাখবেন। মাহিকে তার আব্বু-অনেক বেশি আদর করেন।
যেই ভাবা সেই কাজ। অফিস থেকে বাসার ফিরলে-আব্বুর কাছে সে তার জন্য টাকা জমা রাখার একটা ব্যাংক কিনে দেওয়ার কথা জানায়। ছেলের সুন্দর এই আবদার শুনে মাহির আব্বু সাথে সাথেই সম্মতি দিলেন। ‘হ্যাঁ, আব্বু কালই অফিস থেকে আসার সময় তোমার জন্য সুন্দর একটা ব্যাংক নিয়ে আসবো। আর হ্যাঁ, ব্যাংকে কিন্তু নিয়মিত টাকা রাখতে হবে, কেমন। মাহি চিন্তায়-পড়ে গেলো, নিয়মিত কিভাবে টাকা রাখবে সে? কেনো- আব্বু। এই যে তোমার বড় আপু যেভাবে প্রতিদিনের- ‘স্কুলের টিফিনের’ টাকা থেকে কিছু বাঁচিয়ে রাখে তার ব্যাংকে জমা করে। তুমি কি সেভাবে পারবে না আব্বু?
হ্যাঁ আব্বু, অবশ্যই পারবো, হাসিমুখে বলল, মাহি।
আজ মাহির জন্য ব্যাংক নিয়ে এসেছেন তার-আব্বু। বাসার সবাই দেখতে আসলেন। কাঁঠাল আকৃতির মাটির (কারুকাজ খচিত) এই ব্যাংকটি দেখতে খুব চমৎকার-লাগছে। মাহির আব্বু তার পকেট থেকে ভাংতি কিছু টাকা মাহির ব্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। সাথে সাথে আম্মু, বড় আপু ও চাচ্চু তারাও কিছু টাকা মাহির ব্যাংকে রাখলেন। মাহি তখন খুশিতে হাততালি দিতে লাগলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন