দুদিন পরেই টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। মধুপুর পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি, সড়ক, পাড়া-মহল্লায় প্রার্থীদের পোস্টারে-পোষ্টারে ছেঁয়ে গেছে। পৌর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। সব মিলিয়ে এ পৌর সভায় জমে উঠেছে নৌকা ও ধানের শীষে লড়াই।
নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকিং ছাড়াও চলছে মিছিল-শ্লোগান ও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারনার ঝড়। করোনা আর শীতকে পেছনে ফেলে কোনো প্রার্থীই পিছিয়ে নেই।
আগামী ৩০ জানুয়ারি মধুপুর পৌর সভায় ৩য় ধাপের এ নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো পৌর এলাকা। চারদিকে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। হোটেল-রেস্তোরা, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটসহ পৌর এলাকার সর্বত্র একটাই আলোচনা কে হচ্ছেন মধুপুর পৌর মেয়র।
মধুপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পৌর সভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪১ হাজার ৬‘শত ৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৭৫০ জন এবং মহিলা ভোটার ২০ হাজার ৯২৯ জন। এ পৌর সভায় এবার মেয়র পদে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধীতা করছেন। দুজনই নতুন মুখ। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিক হোসেন খান (নৌকা) ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ পান্না (ধানের শীষ)। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধদ্ধীতা করছেন। এ পৌর সভার ভোটাররা ৩০ জানুয়ারি ১৫ টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
পৌষের হাড় কাঁপানো শীতকে হার মানিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পুরো দমে জমে উঠেছে পৌর নির্বাচনের আমেজ। ভোটারদের কাছে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলে মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছেন না। প্রার্থীরা পৌর এলাকার উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক করছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন ডজন-ডজন প্রতিশ্রতিও।
তরুণ ভোটার সাইফুল ইসলাম, মাহবুব এলাহী ও রোকেয়া খাতুন জানান, আমরা নতুন ভোটার হিসাবে য্যেগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবো। যিনি আমাদের নাগরিক সেবা বেশি দিতে পারবে, এলাকার উন্নয়ন করতে পারবে এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত পৌর সভা গঠন করতে পারবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দিবো।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিক হোসেন খান বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রর্থী। আমি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এবং কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের স্বপ্নের ডিজিটাল মডেল পৌর সভা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করতে চাই। উন্নয়নের প্রতীক হলো নৌকা। আর এই নৌকা আগামী ৩০ জানুয়ারি পৌর নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে বিজয় সুনিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ। নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ পান্না জানান, এবার এ পৌর সভায় ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং ভোটাররা নির্বিগ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান, আগামী ৩০ জানুয়রি মধুপুর পৌর সভার নির্বাচন নিয়ে কোন সংশয় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটাররা নির্বিগ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন