কুষ্টিয়া জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) গ্রহণ করবেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
একই সঙ্গে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে রোববার থেকে একযোগে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
সিভিল সার্জন জানান, রোববার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ নিজে করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) গ্রহণ করে কুষ্টিয়া জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকা গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
একই সঙ্গে কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলার মধ্যে কুমারখালী, ভেড়ামারা ও খোকসা উপজেলায় এই টিকা গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য দুটি উপজেলা মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায়ও এই টিকা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দুটি স্থানে এই করোনা টিকা দেয়া হবে। এর একটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল এবং অন্যটি কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন হাসপাতাল।
তবে উদ্বোধনী দিনে শুধুমাত্র কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালেই এই টিকা দেয়া হবে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই টিকা দেয়া হবে। শনিবার পর্যন্ত কুষ্টিয়া সদরে টিকা নেয়ার জন্য ৭৯৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রোববার উদ্বোধনী দিনে ৩০ জনকে টিকা দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ২৯ জানুয়ারি খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম কুষ্টিয়া জেলায় ছয় হাজার ভায়াল করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) এসে পৌঁছায়। যা দিয়ে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রথম পর্যায়ে ২৬-২৭ হাজার মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রদত্ত তথ্য মতে, কুষ্টিয়া জেলায় এখন পযন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮৬৮। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৭৫৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৮ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন