“ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্লমুকুল। চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায়, বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণবায়। স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি করে, জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে। ...রাত কাটে, ভোর হয়, পাখি জাগে বনে- চাঁদের তরণী ঠেকে ধরণীর কোণে”। (ফাল্গুন। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
মাঘের বিদায় আজ। ফাল্গুন দরজায়। আগেই শুরু হয়ে গেছে আবহাওয়ায় পালাবদল। মওসুমের বর্তমান সময়ের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে। অনেক এলাকায় শীতের কুয়াশা প্রায় কেটে গেছে। দিনমান উজ্জ্বল সূর্য কিরণে রোদের তেজে ঘামানোর অবস্থা। চলতি সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা দ ক্রমে বৃদ্ধিরই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আবহাওয়াই জানান দিচ্ছে- “বসন্ত এসে গেছে...”।
গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ড ও কক্সবাজারে ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনি¤œ তাপমাত্রা আরও বেড়ে হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১০.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদও ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। সর্বোচ্চ ২৮.২ এবং সর্বনি¤œ ১৬.৯ ডিগ্রি সে.।
গতকাল দেশের অধিকাংশ এলাকায় দিনের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ এবং রাত থেকে ভোরে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই ছিল।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন