রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

সোনালি কাবিনের কবি আল মাহমুদ

আবুল কাসেম হায়দার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

‘কবিদের কাজ হলো মানুষের মধ্যে স্বপ্ন সৃষ্টি করা। সেই স্বপ্ন কল্পনাতে জাগিয়ে তুলবে, স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্ন প্রবিষ্ট করিয়ে এগুতে থাকবে। কখনো স্বপ্ন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। আসলে দুঃস্বপ্নও স্বপ্নেরই নামান্তর মাত্র। পৃথিবীতে দুঃস্বপ্নেরও একটা ভাষা আছে। নিয়ম ও রীতি পদ্ধতি আছে। এ সব থেকেই ভাষার গঙ্গা বহমান।’ কথাগুলো বলেছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ও মৌলিক কবি তথা ‘সোনালি কাবিন’র কবি আল মাহমুদ। আল মাহমুদ শুধু একজন কবি ছিলেন, তা নয়। তিনি কবিতা, কাব্য রচনার পাশাপাশি ছড়া, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ রচনায় পারদর্শী ছিলেন। কথা শিল্পে তিনি তাঁর স্বাতন্ত্র্য শিল্পমন্ডিত। তাঁর কথা শিল্পের সেরা ও সর্বশেষ নিদর্শন হচ্ছে ‘পোড়া মাটির জোড়া হাঁস’ উপন্যাস।

কবি আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালে ১১ জুলাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মোড়াইল গ্রামের মুলক বাড়িতে, মৃত্যুবরণ করেন ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০১৯। কবি আল মাহমুদ মাত্র দুটি কাব্য গ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’ এর জন্য ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে কবি আল মাহমুদ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। আল মাহমুদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের কাছাকাছি। তিনি তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য ১৯৮৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮১ সালে শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে অলক সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯০ সালে নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, ১৯৮৪ সালে হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার এবং ২০০৯ সালে ‘আবুল কাসেম হায়দার লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার’ অর্জনে সম্মানিত হন। আল মাহমুদ তার কবিতার জন্য অমর হয়ে থাকবেন আমাদের মাঝে যুগ যুগ ধরে, অনন্ত কাল।
লেখক: গবেষক, শিক্ষানুরাগী ও শিল্প উদ্যোগক্তা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন