লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উদ্দীন আযাদ সোহেলকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল হক এ আদেশ দেন। জানা যায়, রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উদ্দিন আজাদ সোহেলের বিরুদ্ধে রামগতি উপজেলা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জন সদস্য ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দেন।
এই অনাস্থা প্রস্তাবের আলোকে তদন্ত শুরু করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব)খন্দকার জহিরুল ইসলাম।সরেজমিনে তদন্তে এসে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উপজেলা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি পরিষদের ১৩ সদস্যসহ দুইজন সরকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ অনাস্থা প্রস্তাবে পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান,আটজন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত দু›জন নারী সদস্যসহ ১২ সদস্য স্বাক্ষর করেন।
অনাস্থা প্রস্তাবে আনীত অভিযোগ গুলোর মধ্যে অবৈধ ভাবে সরকারী গাছ কাটা ও কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন যথাযথ সরবরাহ না করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উদ্দিন আজাদ সোহেল দোষী প্রমাণিত হয় মর্মে উল্লেখ করেন প্রজ্ঞাপনে।অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে অপসারণের এ আদেশ জারি করা হয়।এ ব্যাপারে শরাফত উদ্দীন আযাদ সোহেল বলেন,আমাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই অনাস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন